গোবিন্দভোগ চাল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদী
বাসমতি চালের মতও গোবিন্দভোগ চাল থেকেও শুল্ক মুক্ত করা হোক, মোদীকে চিঠি মমতার | ছবি - ফাইল

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ গোবিন্দভোগ চালের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন করে জানিয়েছেন, গোবিন্দভোগ চালের রফতানিতে যে ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে কেন্দ্র সরকার, ‘তা পুরোপুরি মকুব করা হোক।’

ইতিমধ্যেই এই গোবিন্দভোগ চাল দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পুজোর ভোগ হিসাবে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বলেই দাবি করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এর সাথে সাথে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ওমান, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ছাড়া ইউরোপের নানা দেশে গোবিন্দভোগ চালের বিপুল পরিমানে চাহিদা রয়েছে।

বাংলার কিছু হাতে গোনা জায়গাতেই এই গোবিন্দভোগ চাল উৎপন্ন হয়ে থাকে। এই সুগন্ধি চালটি ২০১৭ সালের ২৮ শে অক্টোবর জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করার কারণে এই চালের রপ্তানির বাজারের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে জানিয়েছে গোবিন্দভোগ চালের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মার খাচ্ছে এই ব্যবসা। কারণ চলতি বছরের ২৮ শে সেপ্টেম্বর গোবিন্দভোগ চালের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কুড়ি শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যার ফলে এই চাল রপ্তানিতে মার খাচ্ছে রাজ্য। সেই মর্মে ক্ষতি হচ্ছে চাষীদেরও।

কিন্তু গোবিন্দভোগ চালের মতোই আরো একটি সুগন্ধি চাল, বাসমতি চালের উপর থেকে কেন্দ্র সরকার ২০ শতাংশ শুল্ক মুকুব করেছে। তবে কেন কেন্দ্র সরকার গোবিন্দভোগ চালের থেকে বাড়তি কুড়ি শতাংশ শুল্ক মুক্ত করছে না। এই প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার চিঠিতে লিখেছেন, বাসমতি চালের মতই গোবিন্দভোগ চালের উপর থেকেও শুল্ক মুকুব করা হোক।