পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গতকাল ষষ্ঠ দফার ভোট কে কেন্দ্র করেই রাজ্যে রণক্ষেত্রের ময়দান সৃষ্টি হয়েছিল। সকাল থেকেই অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে। বেলা বাড়তে না বাড়তেই রণক্ষেত্রের আকার নেয় ষষ্ঠ দফার নির্বাচনী ভোট।
ভোট পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পরও রেহাই মিলল না বিজেপির বুথ এজেন্ট এর দাদা, বৌদি ও বোনের। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর পরিজনদের কে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির বুথ এজেন্ট। আচমকাই পথে তাদের উপর গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। ওই তিনজনকে গুলি বৃদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাদেরকে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই বুথ এজেন্ট এর নাম রহমান। তিনি চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬৬ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্ট ছিলেন এবং তিনি মিছরিগছের বাসিন্দা। এছাড়াও তারা সকলেই বিজেপি কর্মী সমর্থক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভোট পর্ব শেষ হবার পর রহমানের দাদা তমিজউদ্দিন, বৌদি রাবেয়া খাতুন এবং বোন নুরেসা খাতুন একইসঙ্গে বাড়ি পথা হাঁট ছিলেন। হঠাৎই মিছরিগছে তাদের উপর গুলি হামলা করে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা। তাদের তিনজনেরই পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির এজেন্টের দাদা জানিয়েছেন, “ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফিরছিলাম। তখনই গুলি চালায় তৃণমূলের লোকেরা।” এই ঘটনাকে ঘিরে চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী মোঃ শাহীন আক্তার বলেছেন, “আমাদের কর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। আমরা থানায় যাচ্ছি অভিযোগ করতে।” তবে এই ঘটনাকে ঘিরে ঘাসফুল শিবির এর তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।