nadia. rape, kolkata high court, হাঁসখালি ধর্ষণ- খুনের কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা
হাঁসখালি ধর্ষণ- খুনের কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা, গোপন জবানবন্দি পরিবারের

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ নদীয়া জেলার হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হলো জনস্বার্থ মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এই জনস্বার্থ মামলার অনুমতি মিলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই মামলার শুনানি হবার সম্ভাবনা রয়েছে আগামীকাল।

জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা ওই আবেদনে জানানো হয়েছে, নদীয়া জেলার হাঁসখালি তে ১৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তৃণমূল প্রধানের ছেলে। ওই নাবালিকার মৃত্যুর আসল কারণ জানতে এবং সঠিক তথ্য পেতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। শাসক দলের একাংশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে যার কারণে রাজ্য পুলিশ আসল প্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবে।

জানিয়ে রাখি, নাবালিকার মৃত্যুর পর অভিযোগ উঠেছে একাধিক। শুধুমাত্র নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, শুধু তা নয় ! এমনকি, খুনের পর প্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নাবালিকার দেহকে রাতারাতি স্থানীয় শ্মশানে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগও উঠেছে। এমনকি ওই রাতের মধ্যেই শ্মশানের কাঠ, কয়লা, ছাই সমস্তকিছুই পরিষ্কার করে ফেলা হয় এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। তবে এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের নামে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠছে একাধিক! ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার অর্থাৎ ৪ ঠা এপ্রিল। তাহলে এখনো পর্যন্ত কেন রাজ্যের পুলিশ কোনো রকম পদক্ষেপ নিল না ? এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার এতদিন পর কেন নাবালিকার পরিবার মুখ খুলল ? এতদিন কেন বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল ? নাবালিকার পরিবারকে কেউ কি চাপে ফেলে রেখেছে? এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেন পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি? এই সব কিছু নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এ যেন একেবারেই হাথরাসেরই ছায়ার দেখা মিলছে।

তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ নাবালিকার পরিবারের সদস্যদেরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে হাঁসখালী থানায়। আজ ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।