পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া বেঁচে থাকা যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর বিশেষ করে স্মার্ট ফোন আসার পর থেকেই মানুষ মোবাইল ছাড়া কোনো কাজই করতে পারে না। শুধু কাজই নয়, স্মার্টফোনের মধ্যে বিভিন্ন রকমের মনোরঞ্জন সহ যেন গোটা পৃথিবী লুকিয়ে রয়েছে। দিন দিন বিজ্ঞান-প্রযুক্তির কল্যাণে মানব জীবনে অনেক কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। তবে বিজ্ঞান প্রযুক্তির এই কল্যাণ মানব জীবনে যে বড় অন্ধকার নেমে আসতে পারে তা অবাক করে দিয়েছে দেশবাসীকে।
স্মার্টফোন ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কেরলে। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করতেন স্ত্রী। যার কারণে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। এই ঘটনা সামনে আসতেই হতবাক সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, অসম নিবাসী খালিদা গাথুন নামে এক মহিলাকে কুপিয়ে খুন করেছে তার স্বামী। ওই মহিলার বয়স প্রায় বছর ৪৪ হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই মৃত মহিলার স্বামীর নাম ফারুক উদ্দিন। তিনি একটি প্লাইউড ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। কিন্তু স্ত্রী প্রচুর পরিমাণে ফোন ব্যবহার করতেন যার কারণে সবসময় তর্ক-বিতর্ক লেগেই থাকত। অবশেষে স্ত্রীকে হত্যা করে গা ঢাকা দিয়েছে ফারুক উদ্দিন।
গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাত এগারোটা নাগাদ ফারুক উদ্দিন তার স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্ত্রী অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করতেন যার কারণে ফারুক উদ্দিনের সন্দেহ হত। প্রতিদিনের মতোই শুক্রবার তাদের মধ্যে বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এরপরই ফারুক তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এই ঘটনায় মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা এবং এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ওই মহিলা। তারপর তাদের একমাত্র ছেলেকে ফোন করেন প্রতিবেশীরা এবং এই ঘটনার কথা জানানো হয় তাকে।
ছেলে বাড়িতে ঢুকে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। তবে এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত ফারুক নিজেই তার স্ত্রীকে হত্যা করে গা ঢাকা দিয়েছে। এই ঘটনায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে খুব শীঘ্রই অভিযুক্ত ফারুক উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হবে।
