পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ তৃণমূল বনাম তৃণমূল। একের পর এক দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। আর এরই মধ্য দিয়ে এবার ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়।
অর্জুন সিং এর মধ্যে কোন রকম ক্যারিশমা নেই। গতবার নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে জয়লাভ করেছে, এবার জিতলে তৃণমূলের সমর্থনে জিতবে এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন সৌগত রায়। তৃণমূলের দুই নেতার বাকযুদ্ধকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি, যা তৃণমূল শিবিরে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলছে।
সম্প্রতি ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেছিলেন, “২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের মাঝে ক্ষোভের আগুন জ্বলে, সেই কারণেই আমি জয়লাভ করি।” তবে অর্জুন সিং এর এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলের প্রবীণ নেতা তথা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “অর্জুন সিংয়ের মধ্যে কোনরকম ক্যারিশমা নেই। গতবার নরেন্দ্র মোদী সমর্থন করেছিলেন বলে জয় লাভ করেন আর এবার জিতলে তাও তৃণমূলের সমর্থনে জিতবেন।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “সেই সময়ে কিছু হিন্দিভাষী মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন তাই জিতেছিলেন। ওঁর নিজের কোনও ব্যক্তিগত ক্যারিশমা নেই।”
জানিয়ে রাখি, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অর্জুন সিং তৃণমূলে থাকলেও ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের টিকিট না মেলায় তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। তবে তিনি পদ্ম শিবিরে যোগদান করলেও ঘাসফুল শিবিরের মোহ মায়া কাটাতে পারেননি। বিজেপি ছেড়ে পুনরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
২০০৯ সালে বাম আমলে তাদের নেতাদেরকে পরাজিত করে দীনেশ ত্রিবেদীকে জয়লাভ করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অর্জুন সিং। শুধু তাই নয় ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও একই দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে। তাতে করে ব্যারাকপুর এলাকায় অর্জুন সিংএর প্রভাব যথেষ্ট তা আর বলার আক্ষেপ রাখেনা। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল শিবিরে অর্জুন সিং টিকিট চান কিন্তু তাতে সায় দেননি তৃণমূল নেত্রী। যার কারণে তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগদান করে গেরুয়া টিকিট নিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়েছিলেন তিনি।
“অর্জুন সিংয়ের মধ্যে কোনরকম ক্যারিশমা নেই।” সৌগত রায়ের এমন মন্তব্যে পাল্টা জবাব দিতে ভুলেননি অর্জুন সিং। অর্জুন সিং একটি বিজয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সৌগত বাবুর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, “কেউ কেউ অনেক রকম কথা বলছে। এই জায়গায় (ব্যারাকপুর) রাজনীতি করা মানুষদের জনগণ পছন্দ করেনি। সেই কারণেই গত লোকসভা ভোটে আমাকে জিতিয়েছিল এলাকাবাসীরা।”