মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বাচন কমিশন, মমতা, তৃণমূল কংগ্রেস
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- সাম্প্রদায়িক উস্কানি রুখতে কড়া নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। বাংলার বিধানসভা ভোটের প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভায় গিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেই চলেছিলেন। এবার তারই খেসারত দিতে হল তাকে।

গতকাল রাত আটটা থেকে আজকে রাত আটটা পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জির প্রচার নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে যখন মমতা ব্যানার্জি মন্তব্য করেন তখন তাকে প্রথমবার শো-কজ জারি করা হয় ২৮ শে মার্চ এবং দ্বিতীয়বার ৭ ই এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশ্যে যখন তৃণমূল নেত্রী মহিলাদের ঘেরাও করতে নির্দেশ দেন যখন দ্বিতীয়বার তাকে শো-কজ করা হয়।

প্রসঙ্গত, একটি সভায় তিনি বলেন “সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের কাছে হাতজোড় করে বলছি, সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না।” এছাড়া অন্য একটি সভায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “সিআরপিএফ যদি গন্ডগোল করে, আমি আপনাদের মেয়েদের বলে দিচ্ছি আপনারা একটা দল মিলে ওদের ঘেরাও করে রাখবেন আর অন্যদল গিয়ে ভোট দেবেন।” তার এই বক্তব্য কে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় তরজা। এই দুটো বক্তব্যকে ঘিরে এই নির্বাচন কমিশন উত্তর চেয়ে পাঠায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

নির্বাচন কমিশনের এই শোকজের উত্তর দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় ২৪ ঘন্টার জন্য তার প্রচার নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বাংলার বিধানসভা ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন আজ তিনি ধর্নায় বসবেন।

এই ঘটনার প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন “বিজেপির শাখা সংগঠন নির্বাচন কমিশন এই কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করলো। কুৎসিত ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তারই প্রতিবাদ করায় এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই অপচেষ্টা সফল হবে না।”