কুনাল ঘোষ, kunal ghosh, tmc, ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত
"ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত।" তৃণমূল মন্ত্রীর উপরই বিস্ফোরক মন্তব্য কুণালের | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদেরকে কেন্দ্র করেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। গতকাল তিনি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু আজ সোমবার নাম না করেই ফের তৃণমূল নেতাকে নিশানায় নিলেন কুনাল ঘোষ।

সারদা কাণ্ডের জেরে জেলে বন্দী অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। সেই মামলার জেরে তিনি আজ এমপি, এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে যান। আজ আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন কুণাল ঘোষ এবং তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, “আইকোর মডেলকে যিনি তুলে ধরেছিলেন, তিনি আজ মন্ত্রী। তিনিই তখন আমাকে পাগল বলেছিলেন। তিনি এখন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত।”

গরু পাচার কাণ্ডের জেরে সিবিআই সদরদপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআই এর ডাক পেতেই অনুব্রত মণ্ডল এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। অনুব্রত মণ্ডল কে নিশানায় নিয়ে নাম না করে তিনি এদিন বলেন, “এখন তো অনেক প্রভাবশালীর চিকিৎসা হচ্ছে উডবার্ন ওয়ার্ডে। কিন্তু জেলে থাকা অবস্থায় আমার দাঁতের যন্ত্রণার চিকিৎসা হয়নি। এখন এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড অসুস্থদের চিকিৎসাস্থল নয়, ওটা কয়েদিদের আশ্রয়স্থল।”

তিনি যেভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাতে করে কোন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার আক্রমণ তা স্পষ্ট নয়। তবে সিবিআই এর ডাক পেয়ে উডবার্ন ওয়ার্ডে আপাতত ভর্তি অনুব্রত মণ্ডল। যার ফলে কুনাল ঘোষের এমন অভিযোগের তীর কোন দিকে যাচ্ছে তা বুঝতে কারো অসুবিধা হয়নি। এদিন তিনি সিবিআই হাজিরা নিয়ে বলেন, ” আমি এখনো পর্যন্ত কোনো সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে যায়নি।”

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে দলের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই কুণাল ঘোষের। এক কথায় বলা যায় দলের সদস্যদের সঙ্গে বাকযুদ্ধ চলছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। ইতিমধ্যেই এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার গিয়ে পৌঁছেছে সিবিআই এর হাতে। তবে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে কুনাল বলেছিলেন, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আমলে এমন ঘটনা ঘটেনি। যেমনটা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আমলে ঘটেছে। তবে এই এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “দলের মহাসচিব তথা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিস্তারিত বুঝিয়ে বলতে পারবেন।”

পরে এই নিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি দলের অভ্যন্তরে আড়াআড়ি বিভাজন প্রকাশ্যে চলে এসেছে ? কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “কোনও আড়াআড়ি ভাঙন নয়। কুণাল মন্ত্রিসভার সদস্য নন। আমাদের সব দায়িত্ব যৌথ। আমি সেই মন্ত্রিসভার সদস্য। পার্থদাও মন্ত্রিসভার সদস্য। তাই বিষয়টা পার্থদার একার নয়।”