পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্য সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কাল বঙ্গে দুটি জনসভা করেন। জয়নগরে একটি জনসভা করেন এবং দ্বিতীয় জনসভা করেন হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচনী ভোট গ্রহণ হয়েছে। হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয় দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গতকাল মোদীজি জয়নগরের জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
গতকালের নন্দীগ্রামের ভোটকে কেন্দ্র করে তিনি জানিয়েছেন, “নন্দীগ্রামে পরাজয় নিশ্চিত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।” এছাড়াও তিনি নানাভাবে আক্রমণ করতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মোদীজি আরও বলেন, নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার পর। তিনি কি আর কোন আসনে লড়বেন ? প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করে জানিয়েছিলেন, নন্দীগ্রামে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন অন্য আসনে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন মমতা ব্যানার্জী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে এমন ভাবে কটাক্ষ করায় পাল্টা জবাব দিলেন কলকাতার তৃণমূল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গেরুয়া শিবিরের আক্রমণে পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটে জিতবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
জয়নগরের সভায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জির হার নিশ্চিত। এই বক্তব্যের পাল্টা আক্রমণে ফিরহাদ হাকিম কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বলে গেলেন নন্দীগ্রামে নাকি মমতা ব্যানার্জি হেরে যাবেন। এর আগে তো উনি যোগব্যায়াম করতেন। আর এখন জ্যোতিষী হয়ে গিয়েছেন। ভোট পেতে হলে মানুষের পাশে থাকার প্রয়োজন হয়। ওসব মুখ ও দাড়ি দেখিয়ে বাংলায় ভোট পাওয়া যাবে না। এখানকার আন্দোলনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মমতা ব্যানার্জি এবং বাংলার মানুষ ওনাকেই চায়। এছাড়াও ফিরহাদ হাকিম বলেন ‘নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন, একথা নন্দীগ্রামের মানুষই বলেছেন।’
বাগনানের তৃণমূল প্রার্থী অরুনাভ সেনের হয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওপর কটাক্ষ করে এমনটাই বক্তব্য রেখেছেন ফিরহাদ হাকিম। প্রধানমন্ত্রীর উপর কটাক্ষ করে বলেন, “এর আগে তো উনি যোগব্যায়াম করতেন। আর এখন জ্যোতিষী হয়ে গিয়েছেন।”