পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন গত সোমবার। একুশের বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে নীল বাড়ি দখল করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বার রাজধানী দিল্লিতে পা রেখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দিদি।
তবে তার এই দিল্লি সফর সফল হয়েছে। তিনি এদিন জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর কাছে তার যে দাবি-দাওয়া চাওয়ার ছিল সবকিছুই জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি জাতীয় স্তরে বিরোধী নেত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে বাকি রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার রাজধানীতে গিয়ে তিনি একাধিক সর্বভারতীয় ও আঞ্চলিক বিরোধী দল নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন ও বৈঠকও করেছেন। গত বুধবার তিনি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করেছেন। এছাড়াও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাঁচ দিন রাজধানীতে সফর করার পর আজ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ফিরছেন মমতা। তবে রাজ্যে ফেরার আগেই, দেশ বাঁচানোর ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, “এই মুহূর্তে দেশ বাঁচানোই একমাত্র লক্ষ্য।”সে সঙ্গে তিনি আরও বলেন, এবার থেকে দু’মাস অন্তর তিনি দিল্লি সফর করবেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধানী ছাড়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বলেন, “ভ্যাকসিন এবং ওষুধের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। এবার দিল্লি এসে অনেক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। সংসদে গেলে সবার সঙ্গে একসাথে দেখা হতো। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জন্য সেই পরিস্থিতি আর নেই।”
জ্বালানি গ্যাস ও পেট্রোপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি এদিন বলেন, “দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। কোনো মানুষই ভালো নেই। আগে দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশের উন্নতি চাই মানুষের উন্নয়ন চাই।” পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে দিল্লি সফর-এ গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
