পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ যার জেরেই বঙ্গের আকাশ মেঘের চাদরে ঢেকে রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আর মাত্র ২ দিন পর অর্থাৎ ১১ ই মে নিম্নচাপের হাত ধরেই বঙ্গে বর্ষার আগমন ঘটবে।
তবে ইয়াস এর পর ফের বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে বাংলা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ১১ ই জুন ভরা কোটাল রয়েছে, তার মধ্য দিয়ে আবার নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ভরা কোটাল এর জেরে সাগরের জলোচ্ছ্বাস প্রবল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তার ফলে উপকূলবর্তী এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাগুলিতেই বৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে প্রাক বৃষ্টির দেখা মিলেছে রাজ্যে। এরপর নিম্নচাপের জেরে আগামী তিন-চার দিন প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এছাড়াও আজ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজকের (Weather) আবহাওয়াঃ
সকাল থেকেই আকাশ জুড়ে মেঘাচ্ছন্ন ভাব। আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম আবহাওয়া বিরাজ করছে। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে এবং কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৭৮ শতাংশ। গতকালের তুলনায় আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমেছে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সাথে সাথে মেঘের গর্জন ও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। বৃষ্টির সাথে সাথে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভরা কোটাল এর জেরে গঙ্গার জলের দাপট ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। জোয়ারের সময় মহানগরের অনেক নিচু এলাকা গুলি জলের নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সমুদ্র সৈকত থেকে ফিরে আসার জন্য সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী মানুষদের কে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।