পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে বড় ধাক্কা খেল মমতা ব্যানার্জির সরকার। ২০১৪ সালের টেটের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন কিছু চাকরি প্রার্থী। এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
মেধা তালিকা আসার পর এই তালিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীর একাংশ। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে মোট ১৬,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষকের প্রাথমিক শিক্ষক এর নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা হয়েছিল। গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১৬,৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এর তরফ থেকে এই মেধাতালিকা প্রকাশ করার পর এই তালিকা নিয়ে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কিছু চাকরি প্রার্থী। মামলাকারীদের দাবি যে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে যাদের নাম ছিল সেই নামের বাইরে অনেক প্রার্থীর কাছে নিয়োগপত্র গিয়েছে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশের ঘোষণা করে।
কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এর পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং এখনো পর্যন্ত যাদের কাছে নিয়োগপত্র পৌঁছেছে সেই নিয়োগপত্র কার্যকর হবে না বলেই জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলায় আরও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এবং তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুনঃ- অসুস্থ বাবা শয্যাশায়ী ! সংসারের হাল ধরতে নেমে পড়ল সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া সুমন ঘোষ !
কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এর পর কোনভাবেই ভোটের আগে আর প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগ হচ্ছে না বললে কোন ভুল হবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশের পর মুখ পুড়ল মমতা সরকারের।