chandan, beef, jharkhand
গোমাংস খেতে নারাজ হিন্দু যুবকের ! কপালে জুটল পোশাকহীন বেধড়ক মার

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বছর শুরুতেই মিলল এক চাঞ্চল্যকর খবর যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় উঠেছে ঝড়। সকলেই বোধগম্য যে, হিন্দু ধর্মীয় মানুষেরা গরুকে দেবতারূপে পুজো করে। তবে খবর পাওয়া গিয়েছে যে, কয়েকজন মুসলমান যুবক এক হিন্দু পরিবারের ছেলেকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বলপূর্বক গরুর মাংস ও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এমনকি মারধোরও করে তাকে।

ঘটনাটি ঘটেছে ৩১শে ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের রাধানগর এলাকায়। হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবকের নাম চন্দন হরিদাস। ঘটনাসূত্রে জানা গিয়েছে যে, চন্দন নামে ওই যুবক সেদিন রাতে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে কথোপকথোনে ব্যস্ত ছিলেন। তারপর শৌচকর্মের জন্য দোকান থেকে একটু দূরে যায় সে। সেখানেই চন্দন দেখতে পায় যে, কয়েকজন যুবক বেশ মজলিস করে গোমাংস এবং মদ খাচ্ছে।

তাদের অপ্রীতিমূলক হাবভাবে বিরক্ত হয় চন্দন এবং কথায় কথায় তাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। তারপরেই তারা চন্দনকে চেপে ধরে মদ ও গোমাংস খাওয়ানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু তিনি কিছুতেই তার ধর্মবিরোধী কাজ করতে রাজি হচ্ছিল না। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চন্দন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পালাতে ব্যর্থ হয় সে। মদ ও গোমাংস খেতে না চাইলে, তার পোশাক খুলে নিয়ে রাস্তাতেই চন্দনকে বেধড়ক মারধোর শুরু করে তারা।

সেদিন ঘটনাস্থলে পাঁচজন যুবক উপস্থিত ছিল। রাধানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চন্দন। পুরো ঘটনা শোনার পর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা নেন। এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্তের দায়িত্বও নিয়েছেন।

আরো খবর পাওয়া যায় যে, সেই পাঁচ যুবক চন্দনকে মারধর করার পর তাদের সম্পর্কে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বারণ করে। শুধু তাই নয়, তাকে টাকার লোভও পর্যন্ত দেখানো হয়। তারা বলে, পাঁচ-দশ লাখ টাকা নিয়ে নিতে এবং তাদের বিরুদ্ধে মুখ না খুলতে। কিন্তু তা না শুনে চন্দন সোজা অভিযোগ করেন পুলিশের কাছে।