badruddin ajmal, AIDUF, badruddin ajmal's comment on early marriage, বদরুদ্দিন আজমল,
হিন্দুরা বিয়ের পূর্বে জড়ায় অবৈধ সম্পর্কে! বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষমা প্রার্থনা বদরুদ্দিন আজমলের | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার এক মন্তব্যের জেরে বিতর্কের মুখে পড়লেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দিন আজমল। আসামের এই রাজনৈতিক নেতার দাবি, হিন্দুদের উচিত মুসলিম-ফর্মুলা অনুসরণ করে অল্প বয়সে বিয়ে করা। হিন্দুরা বিয়ের আগে অবৈধ সম্পর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। অন্যদিকে, মুসলমানরা তাড়াতাড়ি বিবাহ সম্পন্ন করে সুস্থ জীবন যাপন করেন।

এই রাজনীতিবিদ শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলার প্রসঙ্গে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার করা ‘লাভ জিহাদ’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আজ দেশের শীর্ষ নেতাদের একজন। তাই তাকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। আপনিও চার-পাঁচটি ‘লাভ জিহাদ’ চালিয়ে আমাদের মুসলিম মেয়েদের তুলে নিয়ে যান। আমরা এটাকে স্বাগত জানাব, এমনকি প্রতিবাদও করব না।

AIDUF প্রধান বদরুদ্দিন আজমল মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে বলেন, হিন্দুরা ৪০ বছর বয়সের পরে পারিবারিক চাপে বিয়ে করে। কেউ আশা করে কিভাবে যে ৪০-এর পরে তারা সন্তান ধারণ করবে? জমি উর্বর হলেই বীজ বুনলে ভাল ফসল ফলাতে পারবেন এবং পরবর্তীকালে তা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি দাবি করেছেন, মুসলিম পুরুষরা ২০-২২ বছর বয়সে বিয়ে করে নেয়, আর সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বয়স ১৮ বছরের পরেই মুসলিম মহিলারাও বিয়ে করে নেয়। হিন্দুরা যেমন বিয়ের আগে এক, দুই বা তিনটি অবৈধ স্ত্রী রাখে। নিজেদের জীবন উপভোগ করে এবং অর্থ বাঁচায় কিন্তু বাচ্চাদের জন্ম দেয় না।

তিনি আরও বলেন, হিন্দুদেরও মুসলমানদের অনুসরণ করে বাচ্চাদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া উচিত। ছেলেদের ২০-২২ বছর এবং মেয়েদের ১৮-২০ বছর বয়সে বিয়ে করা উচিত, তারপর দেখুন কত সন্তানের জন্ম হয়।

বদরুদ্দিন আজমলের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ফলে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে জানান, কোন সম্প্রদায়কে ছোট করে অসম্মানিত করার উদ্দেশ্য তার ছিল না। আমি আমার মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ওই ধরনের বক্তব্য আমার পেশ করা উচিত হয়নি। আমার শুধু এটুকুই বক্তব্য সরকার যেন সংখ্যালঘুদের জন্য উন্নত ব্যবস্থা নেন। যাতে তারা সঠিকভাবে শিক্ষা অর্জন এবং পরবর্তীকালে চাকরি লাভ করতে পারে।