পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১০০ বছর বয়সে আজ ভোরবেলায় প্রায় ৩.৩৯ নাগাদ পরলোক গমন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদাত্রী হিরাবেন মোদি। বয়সের ভারে বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন হীরাবেন মোদি। গত মঙ্গলবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সব চিকিৎসাকে হার মানিয়ে অবশেষে তিনি আজ ভোরবেলায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
গত মঙ্গলবার হিরাবেন মোদি, হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে। বুধবার মোদিজি নিজে সেই হাসপাতালে উপস্থিত হন মাকে দেখবার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ তিনি মায়ের সঙ্গে কাটান। অবশেষে মা-কে সারাজীবনের ধরে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি এবং আজ শুক্রবার ভোরে তাকে হারিয়ে ফেলেন। সকাল ঠিক ৭টার মধ্যে আমেদাবাদের হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে যান মোদিজি।
মায়ের মৃত্যু সম্পর্কে শুক্রবার মোদিজি টুইট করে জানান যে, একটা গোটা শতাব্দি কাটানোর পর অবশেষে তার মা যেন ভগবানের কাছে বিশ্রাম নিতে পৌঁছেছেন। মোদিজি তার মায়ের মধ্যে সর্বদাই তিনটি অসাধারণ ক্ষমতাকে দেখতে পেতেন। এক – সাধুভাব, দুই – দৃঢ় মূল্যবোধ এবং তিন – কর্মপ্রাণ মানসিকতা। মোদিজীর সকল কর্মের পেছনে হীরাবেন মোদির অদম্য উৎসাহ এবং আশীর্বাদ ছিল।
হিরাবেনের পরিবারের সদস্যরা প্রার্থনার জন্য আপামর জনগনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং সকলকে তাদের নির্ধারিত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। এবং বলেছেন যে, এটি তাঁর প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা হবে। পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করি হিরাবেন মোদির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জানান, এটি সেই মূল্যবোধ যা হীরাবেন তার পরিবারকে সংগ্রামে পূর্ণ একটি কঠিন জীবনের মধ্য দিয়ে দিয়েছিলেন যা দেশকে মোদির মতো নেতা দিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর মাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা শ্রীমতি হিরা বা-এর পরলোক গমনের বার্তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই কঠিন সময়ে, তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও ভালোবাসা রইল। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মোদিজীর মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে শোক প্রকাশ করেছেন।
মায়ের শেষকৃত্য পর্যন্ত পাশে ছিলেন স্বয়ং মোদিজি। আজ ১১:১৫ নাগাদ তার উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল বঙ্গে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস উদ্বোধনের দরুণ। ‘বন্দে ভারত’ উদ্বোধনের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন মেট্রো প্রজেক্ট উদ্বোধন এবং ‘নমামি গঙ্গে’ সহ আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসতেন তিনি। মায়ের মৃত্যুর কারণে তিনি কর্তব্য থেকে বিমুখ হননি একচুলও। তাই স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, অনলাইনে ডিজিটাল মাধ্যমে তিনি তার কর্মসূচিগুলি পালন করবেন বলে জানা গিয়েছে।