পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা ভোট। এই বিধানসভা ভোটের হয়ে গিয়েছে চতুর্থ দফার ভোট গণনা। সেক্ষেত্রে শাসকদল অর্থাৎ তৃণমূল এবং এই মুহূর্তে বাংলায় শাসক দলের প্রধান বিরোধী পক্ষ অর্থাৎ বিজেপির মধ্যে শুরু শুরু হয়ে গিয়েছে মারাত্মক ভোট যুদ্ধ।
এই যুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষ। ভোট হিংসার শিকার হয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। তা নিয়েও শাসক এবং বিরোধী পক্ষের চাপানউতর যেন অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। ভোট হিংসার এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল কোচবিহারের শীতলকুচি।
চতুর্থ দফার ভোটের সময় কোচবিহারের শীতলকুচি একেবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বাহিনীর ওপর সাধারণ মানুষ চড়াও হলে বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। আর সেক্ষেত্রে মারা যান এবং আহত হন অনেকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্র-রাজ্য তর্জা আবারও অন্য পর্যায় পৌঁছয়।
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর ইস্তফার দাবী করেন। পাল্টা এই দাবী শিকার করে নিয়ে বলেন যে আগে দিদির ইস্তফা যেন তৈরি থাকে। কারণ এই ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতেই ঘটেছে বলে দাবী করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
আমিত শাহ আরও বলেন যে, দশ বছর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার জন্য একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারুণ একটা বিদায়ী সম্বর্ধনা প্রাপ্য। তিনি আরও বলেন বিজেপি ২০০ আসনে জিতে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায়ী সম্বর্ধনা দেবে। এছাড়াও আরও বলেন শীতলকুচিতে ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই হয়েছে।
এছাড়াও অমিত শাহের দাবী যে, রাজ্যের মানুষ মোদী সরকার চাইছে। দিদি শুধু ভাইপোর জন্য কাজ করেছেন। মানুষ চাইছে তাদের সকলের সরকার যে সরকার রাজ্যবাসীর উন্নতিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও শীতলকুচি কাণ্ডে আমিত শাহ রাজনীতি খুঁজে বার করে বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মৃত আনন্দ বর্মণের কথা একবারও বলেনি। তিনি রাজবংশিদের কোনও গুরুত্ব দেন না বলে দাবী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।