amit shah, caa, নাগরিকত্ব আইন, অমিত শাহ,
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএএ নিয়ে সরগরম হলেও, এ রাজ্য নাগরিকত্ব বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন কিছু জানানো হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই দেশের পাঁচটি রাজ্যে CAA নিয়ে সরব হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে জানিয়ে রাখি, এটা ২০১৯ সালের সিএএ আইন নয়, এটা ১৯৫৫ সালের সিএএ আইন অনুযায়ী হবে।

বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা শরনার্থীদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ইতিমধ্যেই দেশের পাঁচটি রাজ্যে শুরু হয়েছে এই CAA। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও ছত্রিশগড় এই পাঁচটি রাজ্যে মোট ১৩ টি জেলায় অমুসলিম শরণার্থীদেরকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার কথা জানানো হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকারের এই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গোটা দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সিএএ (CAA) নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই শুরু হয়েছিল মার-দাঙ্গা। তবে তার মধ্য দিয়েই দেশে করোনা হানা নড়েচড়ে বসে। মহামারী করোনার জেরে কিছুটা হলেও চাপা পড়েছিল এই নাগরিকত্ব আইন।

amit shah, caa, নাগরিকত্ব আইন, অমিত শাহ,
ছবি – সংগৃহীত

তবে এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর মধ্য দিয়েই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর এর আগে যে সমস্ত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, যৌন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা এই দেশে এসে বসবাস করছেন। শুধু তারাই নাগরিকত্ব আইন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত মানুষদের করা আবেদনের সত্যতা প্রথমে যাচাই করে দেখবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব কিংবা জেলাশাসকরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, তবেই তাঁদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নাম নথিভুক্ত করে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়া হবে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “১৯৫৫ সালের আইন এর ১৬ নম্বর ধারায় দেওয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেইমতো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, যৌন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা আবেদন করতে পারবেন।” নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আবেদন করার সময় যে নথিপত্রগুলো জমা দিতে হবে। সেগুলো অরিজিনালে গুছিয়ে রাখতে হবে। পরবর্তীতে জেলা কালেক্টর এবং স্বরাষ্ট্রসচিব সেগুলি খতিয়ে দেখবেন।