পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের আকাশ জুড়ে অবস্থান করেছে কালো মেঘ। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গে হয়ে চলেছে ভারী বৃষ্টি। আজকেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গেও বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমান। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে বাতাসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত আকারে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণবাত অবস্থান করেছে যা মৌসুমী অক্ষরেখা বরাবর ক্রমশ দক্ষিণের দিকে এগিয়ে আসছে। এছাড়াও তামিলনাড়ু উপকূলে আরও একটি ঘূর্ণবাত অবস্থান করছে। যার জেরে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে। বাতাসে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প বৃদ্ধির কারণে বঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আজ কলকাতার (Weather) আবহাওয়া:
আজ শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৭ শতাংশ। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশি থাকায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিতে ভুগবে বঙ্গবাসী।
আজ উত্তরবঙ্গের (Weather) আবহাওয়া:
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ৫ টি জেলায় ইতিমধ্যেই কমলা সর্তকতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এর পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর সহ মালদহ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আজ।
আজ দক্ষিণবঙ্গের (Weather) আবহাওয়া:
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।