north bengal flood, উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার খবর
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ প্রবল বৃষ্টির জেরে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। এমনকি ঘরছাড়া হতে হয়েছে বহু মানুষকে।

টানা বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি জেলা। ভারী বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীর জলরাশি বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে করলা নদী দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার ১ নম্বর এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। একাধিক বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নদীর জলস্তর বাড়ার প্রভাবে। জল যন্ত্রণায় ভুগছে সেখানকার সাধারণ মানুষ। এমনকি কয়েকশো মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সেখানে ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

নদীর জলরাশি বেড়ে গিয়ে এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে। তবে এলাকা থেকে কখন জল নামবে তার কোন ঠিক নেই। এই রাতের অন্ধকারে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই সাধারণ মানুষের। কোথায় থাকবেন তারা? এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত গ্রামবাসী। গতকাল প্রবল বৃষ্টির জেরে ১ নম্বর এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন গ্রামবাসীরা।

weather, আবহাওয়া, today weather, আজকের আবহাওয়া
ছবি – সংগৃহীত

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “বিগত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে করলা নদীতে বাঁধ নির্মাণ করার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো রকম বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। যার কারনে এলাকায় এমন পরিস্থিতি” বলেই দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, “শুক্রবার রাত থেকে আমাদের বাড়িতে জল ঢুকে রয়েছে। কিন্তু পৌরসভা থেকে কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। পানীয় জল নেই এমনকি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মাথাগোঁজার ঠাঁই পর্যন্ত নেই, শেষমেষ রাস্তায় ঠাই হয়েছে আমাদের। নদীতে বাঁধ নির্মাণ হয়নি, যার কারণে জল যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের।”

জলমগ্ন এলাকা গুলির উদ্দেশ্যে জলপাইগুড়ি পৌর প্রশাসক বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন, “ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে এমন বিপত্তি। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। প্রয়োজন হলে কিচেন চালু করা হবে। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে পাঠানো হয়েছে। এই এলাকার বাঁধ নির্মাণ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট সেচ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি পেলেই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।”