পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ চন্দনা বাউরী ও কৃষ্ণ কুণ্ডু প্রসঙ্গ নিয়ে সরগম রাজ্য রাজনীতি। শালতলার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী কে ঘিরে রাজনীতিতে উঠেছে ঝড়। রবিবার ফেসবুক লাইভে এসে কৃষ্ণের দাবি, চান্দনা বাউরী কে দ্বিতীয় স্ত্রী করে কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। এর পাশাপাশি তিনি আজ বাঁকুড়ার সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
জানিয়ে রাখি, কিছুদিন আগে শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি দ্বিতীয় বিয়ের খবর প্রকাশে উঠে আসে। বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযোগ উঠে আসে, বিজেপি বিধায়ক সকলের অগোচরে গাড়ী চালক কৃষ্ণকে বিয়ে করেছেন। তবে সেই প্রসঙ্গ কে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে লাইভ করেন কৃষ্ণ কুন্ডু। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি তীব্র আক্রমণ করেন বাঁকুড়ার সংসদ সুভাষ সরকারকে। তার কথায়, এলাকার বহু অসহায় মানুষকে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রি সুভাষ সরকারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও এগিয়ে আসেননি সুভাষ বাবু।
কৃষ্ণ এদিন বলেন, “কারো জন্য কিছু করেনি বাঁকুড়ার সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত কাজ আমি একা হাতেই করেছি। কাজ শেষ হওয়ার পরেই আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।” এদিন ফেসবুক লাইভে এসে চন্দনাকে নিয়েও মুখ খুললেন কৃষ্ণ।
এদিন তিনি বলেন, “আমাকে আর চন্দনাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন রকম কথা বলছে সবাই। হয়তো আপনারা ভাবছেন যে, আমরা ভুল কাজ করেছি। কিন্তু কোনও অন্যায় কাজ আমরা করিনি। দলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার ছিল। ওদের বোঝা প্রয়োজন।” তবে চন্দনাকে বিয়ে করে কি শিক্ষা দিলেন কৃষ্ণ? কৃষ্ণের কথায়, শালতোড়ার মানুষের জন্য প্রচুর লড়াই করেছেন তিনি। কিন্তু চন্দনা বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভ করে বিধায়ক হওয়ার পর দলের থেকে তার দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ কৃষ্ণর। দলকে শিক্ষা দিতেই চন্দনাকে বিয়ে করার সিধান্ত নেন কৃষ্ণ এমন টাই দাবি তার।