Abhijit Gangopadhyay, ssc scam, ssc, west bengal ssc scam, আমি জানি না আমার জীবন দশায় এদের সকলকে ধরা হবে কিনা
"আমি জানি না আমার জীবন দশায় এদের সকলকে ধরা হবে কিনা।" নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্তব্য বিচারপতির | ছবি- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে টেট উত্তীর্ণ চাকরির প্রার্থীদের আন্দোলন। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলছে হাইকোর্টে। তবে এবার এই মামলার শুনানিতে হতাশ হয়ে পড়লেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি জানি না আমার জীবন দশায় এদের সকলকে ধরা হবে কিনা।” নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে নাকতলার এক বাসিন্দা মন্তব্যে করেন, এই দুর্নীতিতে কারা কারা জড়িত আমরা সকলেই জানি, তাহলে কেন দোষীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? শুধুমাত্র এই কয়েকজনদের ধরে কি লাভ। আমরা তো আগে থেকেই জানতাম এই দুর্নীতির কথা। তার দাবি এই ঘটনার সাথে জড়িত মূলদর্শীদের কে ধরা হোক।

নাকতলার ওই বাসিন্দা আরও বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যেই চলত, কিন্তু কেউ মুখ খুলতো না। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা অভিযুক্ত হলেও মূল অভিযুক্তদেরকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি বলে ওই বাসিন্দার দাবি। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্তদেরকে গ্রেপ্তার করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি জানিনা আমার জীবন দশায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত সকল অভিযুক্তদের ধরা হবে কিনা। জানিয়ে রাখি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় যে সকল পরীক্ষার্থীরা ১৫০ এর মধ্যে ৮৩ পেয়েছে তাদেরকে পাস বলে গণ্য করা হবে।

কিন্তু হাইকোর্টে মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় যারা ৮২ পেয়েছে তাদেরকে পাশ করিয়ে নিয়োগে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন কারণ ১৫০-এ ৮২ নম্বর মানে ৫৪.৬৬% মার্কস। যেটা রাউন্ড আপ করলে ৫৫%। আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫৫% পাশ মার্কস, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনেও সেটা স্বীকৃত। তাই যারা আবেদন করেছিলেন তাঁদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বিচারপতি। এখন দেখার প্রাথমিক বোর্ড কি অবস্থান নেয়।”