পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি নাম না করেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন। অমিত শাহ এদিন বলেন, ” আমরা চাই সব রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতায় আসতে চাই। বিরোধীদের খুন করে, তাঁদের মা-বোনদের ধর্ষণ করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।”
জানিয়ে রাখি, এর আগে দিল্লি পৌরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে নিশানায় নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোকে একজোট হয়ে লড়ার কথা জানিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহ।
এছাড়াও লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, “আপনারা কেন গোয়ায় গিয়েছেন? কেন আপনারা ত্রিপুরায় গিয়েছেন? আপনাদের যাওয়ার অধিকার আছে। আমি তো বলিনি যে যাবেন না। প্রত্যেক দলেরই নিজেদের মতাদর্শ নিয়ে, নিজের সরকারের কাজ নিয়ে একাধিক জায়িগায় যাওয়া উচিত। এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।”
এরপর শাহ আরও বলেন, “কে চায় না সব জায়গায় নিজেদের সরকার গড়তে? আপনারাও তো গোয়া, ত্রিপুরায় গিয়েছেন। আপনারা যান, এতে আপত্তির কী রয়েছে? আপত্তি তাঁদের হতে পারে, যাঁদের মনে ক্ষমতা হারানোর ভয় রয়েছে। আমরা নির্বাচন, মতাদর্শের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চাই। কিন্তু বিরোধীদের কর্মীদের খুন করে, মা-বোনদের ধর্ষণ করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।”
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এহেন মন্তব্যে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি এদিন বলেন, “অন্যত্র কী হচ্ছে, তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের অনর্থক আক্রমণ করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক পথেই চলি।”
অন্যদিকে রামপুরহাট গণ হত্যাকাণ্ডে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে এসেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কে গ্রেফতার করার ছক পাতা হচ্ছে তা স্পষ্ট। তিনি জানিয়েছেন, “ওরা রিপোর্টে আমার জেলা সভাপতির নাম করেছে। এটা খুব খারাপ। তদন্ত না করে কী করে আমার জেলা সভাপতির নাম উল্লেখ করতে পারে? তার মানে ওকে গ্রেফতার করতে চায়! এটা তো ব্যক্তিগত শত্রুতার ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। সবাইকে গ্রেফতার করতে চায়।”