পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আজ কোচবিহারে জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ দফার ভোট কে কেন্দ্র করে ভোট প্রচারে মেতে উঠেছে বিরোধী দলগুলিও।
তৃতীয় দফা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়েছে রাজ্যে ৯১ টি আসনে। তবে আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৯১ টি আসনের মধ্যে ৯০ টি আসন তৃণমূল কংগ্রেস পাবে।
এছাড়াও কোচবিহারের সভামঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, “আমরা যেমন বলি হরে কৃষ্ণ হরে হরে তৃণমূল ঘরে ঘরে, হরে কৃষ্ণ হরি হরি এসো আমরা ভালো করি। আর বিজেপি হল ছদ্মবেশে শয়তান, সামনাসামনি যা ইচ্ছা তাই করে, দাঙ্গা করে, খুন করে, বোম মারে, গুলি চালায় আর ভোটের সময় মানুষকে দেখিয়ে মন্দিরে এক একটা করে মাথা ঠোকে।”
এরপর তিনি পাঁচালী পড়ার মতো করে বললেন, “হরে কৃষ্ণ হরি হরি মানুষের পকেট চুরি করি, হরে কৃষ্ণ হরি হরি দাঙ্গা করে লোক মারি, হরে কৃষ্ণ হরি হরি গ্যাসের দাম ৯০০ করি, হরে কৃষ্ণ হরি হরি মানুষের ঘরে আগুন জালি, হরে কৃষ্ণ হরি হরি এবার আমরা কেটে পরি।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “আমি কাল শুনেছি রায়দিঘিতে একটি করে কুপন দেওয়া হচ্ছে। এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে ভোট দিলে। ওদেরকে বলে দিও আগে ১৫ লক্ষ টাকার হিসাব দাও, তারপর এক হাজার টাকা দিও।” তিনি জানিয়েছেন, “কিন্তু টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না। খবরদার না। সেটা পাপ হবে মা বোনেরা। ভাইয়েরা টাকাটা দিলে বা পকেটে ঢুকিয়ে রাখবে আর ডান হাত দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট টা দিয়ে আসবে”।
এদিন তিনি জানান, “আমি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এর মতো লড়াই করি, আমি ভাঙ্গি, তবু মচকাই না। আমাকে ভয় দেখাতে দিল্লি থেকে ১ লক্ষ লোক নিয়ে বসে আছে। বাইরের গুন্ডাদের নিয়ে বসে আছে। কেন ? না মমতাকে হারাতে হবে। আমি বলি অত সোজা নয়! ও গুড়ে বালি”! এরপর নাম না করে মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “আগে দিল্লি সামলা তারপর দেখিস বাংলা। দিল্লি টাকে বিক্রি করে দিয়েছে। তারপর ইকোনমিতে ধস, শিক্ষায় ধস, প্রাইভেট সেক্টরে ধস আর নিজের নামে মূর্তি করে বস।”
কেন্দ্রীয় বাহিনীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানিয়েছেন, “সিআরপিএফ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি ভোট দিতে বাধা দেয় তাহলে মহিলারা তাদেরকে ঘিরে রাখবেন। একদল ঘিরে রাখবেন আর একদল ভোট দেবেন। তবে ভোট যেন নষ্ট না হয়। যে সিআরপিএফ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে তাদের নামে এফআইআর করুন।”
এরপর তিনি বলেছেন,”আর এমন কাউকে এজেন্ট করবেন না, যে দুর্বল। বলবে আমি এজেন্ট হবো আর বিজেপি মারছে বলে পালিয়ে আসবে। তাকে আগে ধরে দুটো থাপ্পড় মারতে হবে।” এদিনের সভাতে কন্যাশ্রীর মেয়েদেরকে এজেন্ট করার কথা বলেছেন তিনি।
এরপর তিনি কোচবিহারে সভামঞ্চে থেকে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হলে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন। প্রতিটি বাড়ির মহিলাদেরকে হাত খরচের জন্য দেওয়া হবে ৫০০ টাকা এবং ১,০০০ টাকা করে। এক একর জমি প্রতি ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোচবিহারের সভামঞ্চ থেকে।