cpim, md. salim, rampurhat
"জামাই মারা গিয়েছে তাই দেখতে এসেছি। এটুকু অধিকার আমার আছে," রামপুরহাটে সেলিম | ছবি - আকশ কাইপুত্র

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে উত্তপ্ত বাংলা। মঙ্গলবার সকালে বগটুই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই নানা রকম অভিযোগ ওঠে শাসক দল ও বিরোধী দলের মধ্যে। এই ঘটনার পরিদর্শনে গিয়ে এবার বাধাপ্রাপ্ত হলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম।

আজ বুধবার রামপুরহাটে সেলিমের নেতৃত্বে পৌঁছলো সিপিএমের প্রতিনিধি দল। কিন্তু ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়া হল তাদেরকে। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। এরপর তিনি পুলিশকে জানান, হত্যাকাণ্ডে মৃতদের মধ্যে একজন তার পরিচিত ছিলেন যে কারণে তিনি পুড়ে যাওয়া সেই ঘরটা দেখতে এসেছেন। এছাড়াও তিনি চড়াও হয়ে সরাসরি পুলিশকে বলেন, “আমি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক, আমার নাম মহম্মদ সেলিম।” এমন মন্তব্য করার পর সেলিমকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য যেতে দেওয়া হয়।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক দাবি জানিয়েছেন, নানুরে তার এক বন্ধুর ছেলে বিয়ে হয়েছিল এই গ্রামে। তবে এদিন ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে তার। সে কারণেই ঘটনাস্থল দেখতে এসেছেন বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও তিনি আরও জানান, “মাত্র দুই মাস হল আমার বন্ধুর ছেলের বিয়ে হয়েছে। আর এরই মধ্যে আমার জামাইটা মারা গেছে। কোন ঘরে আমার জামাই মারা গিয়েছে তা আমি দেখতে এসেছি। এটুকু অধিকার আমার আছে।”

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম এর দাবি, মৃত্যুর আগে আমার জামাই বিপদ বুঝতে পেরে বাড়ি ফোন করে পুলিশ পাঠাতে বলেছিলেন। কিন্তু এসডিপিও পুলিশকে যেতে দেয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। নিচু তলার পুলিশকে চেপে রাখা হয়, এমনকি তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়, সেলিম বাবু এমনটাই দাবি জানিয়েছেন রামপুরহাটে দাঁড়িয়ে। এদিন তিনি আরও বলেন, “এ ভাবেই মেটিয়াবুরুজে খুন হয়েছে পুলিশ।” এরপর তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।