পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রাজ্যে ভোট প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ দফার ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গে গতকাল দুটি জনসভা করেছিলেন তিনি এবং কলকাতায় দুটি জনসভা করেছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার ৪ টি জনসভা করেছেন তিনি। হুগলি জেলার অন্তর্গত বলাগড়ে প্রথম জনসভা করেন তিনি এবং দ্বিতীয় জনসভা করেন তিনি হুগলি জেলার অন্তর্গত শ্রীরামপুর। শ্রীরামপুরের জনসভা শেষ করার পর তিনি হাওড়া জেলার অন্তর্গত ডোমজুড়ে জনসভা করেন তিনি।
এদিন বলাগড়ের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী দলিত সাহিত্য একাডেমীর চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন ব্যাপারী। জানা গেছে মনোরঞ্জন বাবু একসময় রিকশা চালাতেন, রান্নার কাজ করতেন। সেসব কথা দিদিকে বলা হয়েছিল সভার অনুষ্ঠিত হওয়ার কিছু সময় পর।
এছাড়াও তৃণমূল সুপ্রিমো কে জানানো হয়েছিল, বলাগড়ের তৃণমূল প্রার্থী রিকশা চালিয়ে নমিনেশন ফাইল জমা করতে গেছিলেন। সে কথা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি শুনেছি মনোরঞ্জন ব্যাপারী নিজে রিকশা চালিয়ে নমিনেশন ফাইল করতে গেছেন। এটা কি ফ্যাক্ট ?” তার সাথে সাথেই স্থানীয় নেতারা জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ দিদি’। আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, “ভেরি গুড।”
তার পর তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমিও রিকশা চালাতে পছন্দ করি, স্কুটি চালাতে পছন্দ করি, আমি সব কিছু কাজ করতে পছন্দ করি।” এবার এই বক্তব্যকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগে পেট্রোপণ্যর দাম বৃদ্ধির কারণে মমতাকে দেখা গিয়েছে প্রতিবাদ করতে। প্রতিবাদ জানাতে নিজ অফিস নবান্নে গিয়েছিলেন স্কুটার জ্বালিয়ে। স্কুটার চালক হিসেবে দেখা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিম কে এবং ব্যাক সিটে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাড়িতে ফেরার পথে দেখা গিয়েছে তিনি নিজেই স্কুটি চালাচ্ছে। কিন্তু ব্যালেন্স সামলাতে পারছিলেন না যেহেতু তিনি ঐদিন প্রথম স্কুটার চালান। এক বার রাস্তার দিকে যাচ্ছেন তো আর একবার ওদিকে যাচ্ছেন। সেই ভিডিওটি কে কেন্দ্র করে কম ট্রল এর মুখে পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যে একটি প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠছে। তাহলে সত্যিই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিকশা চালাতে পারেন ? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতা।