পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তরবঙ্গের পা রেখেছেন গত রবিবার। সেখানে পৌছে একাধিক ছবি তুলে ধরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও তিনি উত্তরবঙ্গে একাধিক বাড়ি গিয়েছেন এবং তিনি বারবার বলেন, পাহাড়কে তিনি খুব ভালোবাসেন।
এর আগেও দার্জিলিঙে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক ছবি আমাদের সামনে উঠে এসেছে। কখনো দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোট্ট শিশুদেরকে নিজের কোলে পাহাড়ি পথে হাঁটছেন। তবে এবার পাহাড়ি সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। পাহাড়ি মেয়েকে ঘরের বউ হিসেবে দেখতে চান তিনি।
মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের ম্যালে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন মমতা। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি পাহাড়ের মানুষের উদ্দেশ্যে একাধিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। বিভিন্ন রকম বক্তব্যের মাঝেই মমতার গলায় শোনা গেল নিজের পরিবারের কথা। তিনি এদিন বলেন, “মহিলারা এগিয়ে এলে সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। মা বোনেরা এগিয়ে এসে দায়িত্ব নিন।” তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে একটি মেয়ে থ্যাংক ইউ লিখে একটি পোস্টার উঁচু করে ধরেন।
পাহাড়ি মেয়েটির দিকে চোখ যেতেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুচকি হেসে বলেন, ” আমি পাহাড়কে খুব ভালোবাসি। তাই আমাদের পরিবারেও পাহাড়ের একটি মেয়েকে বউ করে নিয়ে যাচ্ছি।” মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য এবং হাসির জন্য ওই অনুষ্ঠানের সকল মহিলারা হাসিতে ফেটে পড়েন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের হাসি পুরো রোশনির মত। মনে হচ্ছে যেন কাঞ্চনজঙ্ঘা হাসছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা হাসলে পাহাড়ে মা বোনেরাও হাসে।”
তবে জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আভাস বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজে পড়েন এবং তারই সঙ্গে একটি মেয়ে পড়ে যে কার্শিয়াং এর বাসিন্দা। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সেই পাহাড়ি মেয়ে নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ওই মেয়ের কথা উল্লেখ করেছেন ?