পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ লক্ষ্মীর ভান্ডার বর্তমানে এ রাজ্যের একটি বহুল চর্চিত যোজনা। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রধান তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সর্মথকরা সর্বদাই ছিল এর বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার ২০২২ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্গাপুরে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি বলেন, বিজেপি এ রাজ্যের ক্ষমতায় এলে প্রকল্পের টাকা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
তিনি দাবি করেছেন, ৫০০ টাকায় কোন ব্যক্তি সংসার চলা সম্ভব নয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার ভোটে জিতে রাজ্যের ক্ষমতায় এলেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বর্তমানের থেকে চার গুণ বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা হয়ে যাবে। তার এ হেন মন্তব্যে রাজ্য-রাজনীতিতে জোড় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
২০২১ সালে বিপুলভাবে ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল-কংগ্রেস এবং টানা তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতা আসার পর থেকেই একাধিক জনমুখী প্রকল্পের উপর জোর দিয়েছিলেন তৃণমূল-প্রধান। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি অন্যতম। সরকারের অপর এক কর্মসূচি দুয়ারে সরকার প্রকল্পেও লক্ষ্মীর ভান্ডারে নাম লেখানোর জন্য বাড়ির মহিলাদের কার্যত ভিড় লেগে থাকে।
এদিন সুকান্ত মজুমদার দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দুই দল ত্যাগী নেতাকে তৃণমূল থেকে ফের বিজেপিতে ফিরিয়ে এই মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত, আসানসোল উত্তর বিজেপি মন্ডল তিনের সভাপতি সুদীপ চৌধুরী এবং তৎকালীন জেলা বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন চৌবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দান করেছিলেন। এইদিন তাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূল-কংগ্রেস থেকে ফের বিজেপিতে স্বাগত জানান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত বাবু বলেন, আমাদের সরকার এলে প্রতি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ২ হাজার টাকা করে দেব। আমরা ইস্তেহারে ঘোষণা করেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা সবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে পারিনি, প্রচার করতে পারিনি। এবং শুধু টাকা দিয়ে লোককে ভিখারি করে রাখব না। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। শিল্পায়নের ব্যবস্থা করব। বাড়ির মহিলারা ২ হাজার টাকা করে পাবেন।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প তৃণমূলকে একুশে বিধানসভা ভোটে এক্সট্রা মাইলেজ দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদেরও ধারণা এবারের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও লক্ষ্মীর ভান্ডার বিশেষভাবে ছাপ রাখবে।