dilip ghosh, west bengal politics,
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্ম শিবিরের নাম লিখিয়েছেন অনেক ঘাসফুল শিবিরের নেতা ও নেত্রীরা। রীতিমতো নির্বাচনের আগে দলবদল এর খেলা চলেছে খুব জোরদার।

পদ্ম শিবিরের দাবি ছিল দু’শোর বেশি আসন পেয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়বে বাংলায়। কিন্তু একুশের নির্বাচনে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২১৩ আসন পেয়ে ফের তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদে বসলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গেরুয়া শিবিরের এই ভরাডুবির ফলেই দলবদল খেলা ফের খেলতে চায় দল বদলু নেতারা।

আরও পড়ুনঃ জুন মাসের মধ্যেই রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ডের সংযুক্তি বাধ্যতা মূলক

মুকুল রায় ইতিমধ্যেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বেশ কয়েকজন নেতা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন তারা তৃণমূলেই ফিরতে চান। এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত নেতার গলাতেও একই সুর শোনা যাচ্ছে। রীতিমতো বিজেপির অন্দরে ভাঙন ধরেছে বেশ কিছুদিন। গত কয়েকদিন আগে দলীয় কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে বৈঠক করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেই জোর চর্চা। এ বিষয়ে নিউটনের চা-চক্রে মুখ খুললেন দীলিপবাবু। এদিন তিনি বলেন, “বিজেপির উত্থানে যাদের যোগ নেই, তারাই মন খারাপ করে বসে আছে।” এছাড়াও তিনি তোপ দেগে বলেন, “দলের সঙ্গে যদি কেউ সুর মেলাতে না পারে। তাহলে সেটা ঐ ব্যক্তির সমস্যা। দলের কোনো সমস্যা নয়।” রাজিব, মুকুল ও শুভ্রাংশুকে ঘিরে এমন মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ গত বুধবারের তুলনায় কিছুটা কমল মৃত্যুর হার, নিন্মমুখী করোনা গ্রাফ

এছাড়াও তিনি অভিযোগ তুলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে বিজেপি নেতাদেরকে ভয় দেখাচ্ছে।” তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে এবছরই মেয়াদ শেষ হতে চলেছে দিলীপ ঘোষের। তবে দিলীপ ঘোষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে পদ হারালে তার ঘনিষ্ঠরাও যে পদ হারাবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই।

তবে বিজেপির নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। এদিন তৃণমূলের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, “যে দল নিজেদের নেতাদের ওপর নজরদারি চালায়, সেটা আবার দল নাকি, মিউজিকাল পার্টি! দিলীপ ঘোষ নিজেদের হাসির খোরাক করে চলেছেন” বলেই তার দাবি।