পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে উঠছে নানা ধরনের অভিযোগ। তবে মূল অভিযোগ হলো, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকার সত্বেও মিলছে না চিকিৎসা পরিষেবা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল গুলিকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবার টাকা মেটানো হয়নি। তাই নতুন করে আর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগী ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছেনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
বকেয়া টাকা না মেটালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে না, এমনটাই চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। জানা গেছে, কুড়িটি বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও প্যাকেজের রেট বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির দাবি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর বকেয়া টাকার পরিমাণ অন্তত ২০০ কোটি টাকা। এত টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে! এমন পরিস্থিতিতে আর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। কার্যতই দিন দিন বোঝা বেড়েই চলেছে।
বেসরকারি হাসপাতাল গুলির বক্তব্য, এর আগেও একবার বকেয়া টাকা মেটানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে জানানো হয়েছিল কুড়ি দিনের মধ্যে বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি, এমনটাই দাবি বেসরকারি হাসপাতাল গুলির।
তবে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রত্যেকটি হাসপাতালকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ? তা খতিয়ে দেখা হবে।
জানিয়ে রাখি, কুড়িটি বেসরকারি হাসপাতালে তরফ থেকে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বকেয়া টাকা পরিশোধ এর পাশাপাশি প্যাকেজের রেট বৃদ্ধি করার আর্জি জানানো হয়েছে। মহামারী করোনার সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা সহ কয়েকটি চিকিৎসা পরিসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নির্ধারিত টাকার বাহিরে কোন টাকা দেওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু সরকারের বেঁধে দেওয়া ওই নির্ধারিত টাকায় আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি জানিয়েছে বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।