বিজেপি, তৃণমূল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদী, মোদী, বিধানসভা ভোট
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে চলছে তৃতীয় দফার ভোট। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটকে ঘিরে প্রথম থেকেই তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিআইএম এর ত্রিমুখী সংঘাত সকলেরই অবগত। রাজ্যবাসীর মণ জয় করতে একের পর এক জন সভা করে চলেছে তৃণমূল এবং বিজেপির হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা।

আজ রাজ্যে তিন জেলায় মোট ৩১ টি আসনে হচ্ছে নির্বাচন। আজ রাজ্যে জনসভা করতে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম সভাটি তিনি করেছেন কোচবিহার রাসমেলার মাঠে এবং দ্বিতীয় সভাটি তিনি করেন হাওড়ার ডুমুরজলায়। প্রথমেই কোচবিহার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ধর্মীয় ভেদাভেদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন যে, দিদির যেমন মুসলিমদের এক হতে বলছেন তেমন তিনি যদি হিন্দুদের এক হতে বলেন তবে কেমন হবে।

এরপর তিনি কোচবিহার সভা থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন যে, সারা রাজ্য জুড়ে রটানো হচ্ছে যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে চলা সমস্ত প্রকল্প বাদ হয়ে যাবে তারা মিথ্যে কথা বলছে। তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, কোনও প্রকল্পই বন্ধ হবেনা। সবই চালু থাকবে। সবাই অর্থাৎ কৃষক, পড়ুয়া, মহিলারা সবই সুবিধে পাবেন তবে প্রকল্পে বেড়ে যাবে টাকার পরিমাণ।

প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন যে, একমাত্র যে প্রকল্পটি তৃণমূল সরকারের বন্ধ হবে সেটা হল কাটমানি। তিনি তৃণমূলের করা বারানসী সম্পর্কিত টুইটকে নিয়েও মজা করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন যে, এবার বাংলা থেকে দিদি হেরে গিয়ে বারানসীতে আশ্রয় নেবেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন যে, যেমন ভাবে সাধারণ মানুষ প্রথম এবং দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছে তেমনই আজ তৃতীয় দফা ভোটেও সাধারণ মানুষের রায় বিজেপির দিকেই যাবে বলে তাঁর বিশ্বাস। বিজেপি ঢেউয়ে নাকি এবার ভেসে যাবে তৃণমূল সরকার। যদিও সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটবে আগামী ২রা মে। ওইদিন নির্বাচনী ফল ঘোষিত হবে। সেই দিকে তাকিয়ে সকলে।