স্টাফ স্পেশাল ট্রেন, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতীয় রেল বিভাগ, stuff special train, west bengal, indian railway
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- করোনা আবহে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকলেও সরকারি কর্মীদের জন্য স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু রেখেছে সরকার। এই ট্রেনে স্বাস্থ্যকর্মী এবং ব্যাঙ্ক কর্মীদের চড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রেল কর্মীদের মধ্যে ইদানিং বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে একাধিক পদস্থ কর্মীদের। কাজেই এবার থেকে সরকারের অনুমতি ছাড়া স্পেশাল ট্রেনে উঠলেই করা হবে গ্রেপ্তার।

রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে আবেদন চিঠি যায়, যাতে স্পেশাল ট্রেনে স্বাস্থ্যকর্মী এবং ব্যাংক কর্মীরা উঠতে পারেন। রাজ্যের এই আবেদন কেন্দ্র মেনে নেয়। কিন্তু এছাড়া যারা এই ট্রেনে উঠবেন তাদের সরাসরি গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে রেল দপ্তর। ভারতীয় রেলের ১৪৭ ধারায় চলবে মামলা।

এই স্পেশাল ট্রেনে পুলিশ এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য আলাদা কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এত বিধিনিষেধ থাকা সত্বেও অনেক মানুষ চোখে ফাঁকি দিয়ে স্টাফ স্পেশালে উঠে পড়েছেন অনেকে। কাজেই রেল কর্মীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

স্টাফ স্পেশালে চড়তে দেওয়ার জন্য একাধিক মানুষের আবেদনপত্র পাচ্ছে রেল দপ্তর। এমনকি ডিআরএম অফিস, সিপিআরও অফিসে ফোন করে আবেদন করছেন বিভিন্ন যাত্রীরা। এমত অবস্থায় শিয়ালদহের ডিআরএম -এর বক্তব্য, এত ফোন আর চিঠি আসছে আমাদের কাছে, যে এবার খুবই অসুবিধা হচ্ছে। অনেক যাত্রীরা এসে আবার দেখা করেও যাচ্ছেন। সরকার অবশ্যই এদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করুক। আমাদের আর কিছু করণীয় নেই।

লকডাউন জারির আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন শাখার লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। কাজেই সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। চলছে শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। দিনের কিছু বিশেষ সময়ে খড়গপুর, বর্ধমান, শিয়ালদহ, ব্যান্ডেল এবং হাওড়া থেকে চলছে এই বিশেষ ট্রেনটি।

আর এই ট্রেনে উঠতে পারছেন কিছু বিশেষ শাখার কর্মীরা। অন্যান্য শাখার কর্মীরা যাতে এই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য অগণিত পরিমাণ আবেদনপত্র পাচ্ছেন রেল দপ্তর। কলকাতা পুরসভা রেল দপ্তরের কাছে আবেদন পত্র জমা দেয়, যাতে তাদের কর্মীরা এই স্পেশাল ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে।

এর উত্তরে রেল দপ্তরে জানায়, তাদের কর্মীদের পুরসভা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দিক। তাহলে তারা এ ব্যাপারে ভেবে দেখবে। কিন্তু কলকাতা পুরসভা জানায়, কেন্দ্র থেকে পরিমাণমতো ভ্যাকসিন না আসার জন্য তারা সকলকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম নয়। কাজেই স্পেশাল এই ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্রতিদিন মানুষকে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।