পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ অতিমারি করোনা মোকাবেলায় রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন নেই। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আকাল দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে করোনা রোগীর।
আজ শনিবার হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। কোভিড হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহে কেউ বাধা দিতে আসলে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে জানালো দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানায়, “অক্সিজেন না পেলে কী হতে পারে তা গত ২৪ ঘন্টায় দেখেছি, ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর কিছু হয়ে যাবে।”
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এমন মন্তব্য ঘিরে হাইকোর্ট জানিয়েছে, “দিল্লির অক্সিজেন সাপ্লাইতে বাধা দিচ্ছে কে? কোন একজন ব্যক্তির নাম উঠলেই তাকে ফাঁসির কাঠগড়ায় ঝোলানো হবে। আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলবো না।”
গত ২৪ ঘন্টায় অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা শোনা গিয়েছে অনেক। তারই মধ্যে দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে ২০ জন কোভিড রোগীর। এছাড়াও অমৃতসরের একটি হাসপাতালে ৫ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে।
অতিমারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে ‘সুনামি’ আখ্যা দিয়ে আজ শনিবার দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেখান থেকে জানানো হয়েছে দিল্লির হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে না। দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দিল্লির হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটানো হলে কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের সরকারি কর্মী অথবা স্থানীয় প্রশাসনের কোন ব্যক্তি কে ছেড়ে কথা বলবেনা হাইকোর্ট। অক্সিজেন সরবরাহের ঘটনায় যদি কোন ব্যক্তির নাম উঠে আসে তাহলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আজ শনিবার সকালে বাটরা হাসপাতালে তরফ থেকে জানানো হয়েছে ৩০০ জন কোভিড আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল এর কাছে ২০ মিনিট চালানোর মতো অক্সিজেন মজুদ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন পাঠানোর আর্জি জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শনিবার দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রের কাছে জানতে চাই, কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ৪৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দিল্লি সরকারের কাছে কবে পৌঁছাবে? এই মন্তব্যের জেরে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “সমস্ত রাজ্য নিজেদের অক্সিজেন জোগাড় করছে। আমরা শুধু তাদের সাহায্য করছি। আর দিল্লি সরকার সব আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে বসে আছে। তাদের কেউ নিজেদের কাজটা করতে হবে। দয়া করে কান্না কাটি বন্ধ করুন।”