পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- করোনার সংক্রমণ রুখতে ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে অনেকদিন আগে থেকেই। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল-এর সাথে বৈঠকে বসেন ভারতীয় প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট তথা আইআইটির প্রধানরা। এই বৈঠকে আইআইটির প্রধানরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন, যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়।
গত মার্চ এবং এপ্রিল মাসে আইআইটি দিল্লি তাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনার একটি পরীক্ষা চালায়। তাতে দেখা যায় ৩৯০১ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ২২% শিক্ষার্থী করোনা পজিটিভ। এই পরীক্ষায় ৬১% শিক্ষার্থী ছিল, যাদের পরিবারের লোকজনের মধ্যে কেউ না কেউ করোনা আক্রান্ত ছিল। এই সমীক্ষার পর আইআইটি দিল্লী তাদের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের দৈনন্দিন পঠন-পাঠনের সময়সীমায় পরিবর্তন আনে।
গত মার্চে আইআইটি যোধপুরে করোনা আক্রান্ত হয় ৬৫ জন শিক্ষার্থী এবং তার ফলে সেই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তাদের জি থ্রি ব্লককে একটি কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে তৈরি করে। ওই একই মাসে আইআইটি রূরকি-এর ৬০ জন শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ফলে সেখানের পাঁচটি হোস্টেল বন্ধ হয়ে যায়।
একই সময়ে আইআইটি ভুবনেশ্বর থেকে জানা যায়, সেখানে ১০ জন করোনা আক্রান্ত। গত বছরে ডিসেম্বর মাসে আইআইটি মাদ্রাজে মোট ৭১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং তার মধ্যে ৬৬ জন ছিল সেখানকার শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসেন আইআইটি, এনআইটি, আইআইএসসি এবং আইআইএসআইআর প্রতিষ্ঠানগুলি। সেখানে নতুন বছরের ক্লাস শুরু এবং জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে এই বৈঠকটি সম্পূর্ণ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য ভারত-সরকার ইতিমধ্যেই টিকাকরন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরো ভয়ানক হওয়ার কারণে গত ১ লা মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সমস্ত নাগরিকদের টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে সরকার।
আমাদের ভারতবর্ষের জনসংখ্যার পরিমাণ অধিক হওয়ায় টিকাকরণের কাজটি কঠিন হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে আইআইটি প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকাকরন প্রক্রিয়া চালু করার কথা জানিয়েছে সরকারকে।