পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ কয়লাকাণ্ডের জেরে ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। আজ দিল্লিতে গিয়ে ইডির সদরদপ্তরে হাজিরা দেবেন সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গতকাল, কলকাতা ছাড়ার আগে ‘শেষ দেখে ছাড়বো’ বলে হুংকার জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সোমবার, দিল্লির ইডির সদরদপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেক ও রুজিরার। আর সেই কারণেই গতকাল রবিবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অভিষেক এবং তার স্ত্রী। তবে দিল্লিতে ইডিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইডি যতই ভয় দেখাক না কেন, তিনি কোনরকম মাথানত করবেন না।
উল্লেখ্য, কয়লা কাণ্ডের জেরে বারবার দিল্লি ডেকে পাঠানো হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রীকে। তারা যেহেতু কলকাতার বাসিন্দা তাই তাদেরকে যেন কলকাতাতেই জেরা করা হয়। তা নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিষেক-রুজিরা। কিন্তু আগামী ১১ ই মার্চ দিল্লি হাইকোর্ট অভিষেকের সেই আবেদন খারিজ করে। তারপর তিনি এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। সুপ্রিমকোর্টে তার আবেদন গৃহীত হলেও এখনো পর্যন্ত মামলার কোনো শুনানি হয়নি। মামলার শুনানি না হওয়ায় ইতিমধ্যেই তারা ইডির সদরদপ্তরে পৌঁছাবেন।
দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিজেপিকে আমরা বাংলা থেকে লেজে গোবরে করে ছেড়েছি। বাংলার মানুষ ওদের গো হারা হারিয়েছেন, বহিরাগতদেরকে বলে বলে হারিয়েছি এবং তাড়িয়েছি। এই আত্মসমার্পন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না তারা। আমরা আত্মসমার্পন করিনি বলে, মেরুদন্ড বিক্রি করিনি বলে ওদের গায়ে এত জালা। কিন্তু এখনো আত্মসমর্পণ করবো না এর শেষ দেখে ছাড়বো।”
এছাড়াও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক আরও জানান, “আমাকে আগেও দশ ঘণ্টা জেরা করেছে, যা তথ্য জানতে চেয়েছিল, সব বলে দিয়ে এসেছিলাম। আবারও আগামিকাল যাব। ভোটের লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গে না পেরেই বারবার আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে৷ কিন্তু আমরা অন্য বিরোধীদের মতো নই৷ শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত লড়ব।”