করোনা ভাইরাস, করোনা ভ্যাক্সিন, সেরাম, ভারত বায়োটেক,
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সারা দেশ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এর ধাক্কায় একেবারে নাজেহাল। এমত অবস্থায় চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের মত হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশবাসীকে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ‘ভ্যাক্সিনের অভাব’। তবে আগামী অগাস্টের মধ্যে দেশে করোনা ভ্যাক্সিনের সমস্ত চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক।

যেহেতু বর্তমানে ভারত করোনা ভাইরাসের আক্রমণের দ্বিতীয় ফেজে রয়েছে সেক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন সকলের ভ্যাক্সিনেশান। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভ্যাক্সিনের অভাবে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের দেওয়া যাচ্ছেনা ভ্যাক্সিন এবং সারা দেশজুড়ে ভ্যাক্সিনের বন্টন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সবচেয়ে বড় ভ্যাক্সিন প্রস্তুত কারক দুই সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের সাথে আলোচনায় বসে কেন্দ্র সরকার। দুই ভ্যাক্সিন প্রস্তুত কারক সংস্থা জানায় যে, এই মুহূর্তে দেশে ভ্যক্সিনের অভাব থাকলেও আগামী অগাস্ট মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে দেশে ভ্যাক্সিনের চাহিদা মিটে যাবে।

আগামী অগাস্টের মধ্যে দেশের দুই ভ্যাক্সিন প্রস্তুত কারক সংস্থা প্রতি মাসে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে তারা জানায়। এছাড়াও ভারত বায়োটেক এর তরফে জানানো হয়েছে যে, অগাস্ট মাসের হিসেবে তারা ৭.৮ কোটি ডোজ তৈরি করতে সক্ষম এবং তারা আরও জানিয়েছে যে, জুলাই মাসের মধ্যেই ৩.৩২ কোটি ভ্যক্সিন তারা উৎপাদন করে ফেলবে।

যদিও বিভিন্ন রাজ্য বর্তমানে ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে গ্লোবাল টেন্ডারের পথে হাঁটছে। যত দ্রুত সম্ভব দেশে ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়া বেশির ভাগ মানুষের জন্য উপলব্ধ করানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলি।