পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ফের উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। পৌর নির্বাচন শুরু হওয়ার পূর্বেই শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠছে নানান অভিযোগ। কখনো মনোনয় ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে আবার কখনো বিরোধী দলের প্রার্থীদের তালা বন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠছে। পৌর নির্বাচনে যেন চলছে শাসকদলের চোখ রাঙানি।
বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে পৌর নির্বাচন নিয়ে একাধিক হিংসার ছবি উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই বজবজ, দিনহাটা, সাঁইথিয়া এই তিনটি পৌরসভা দখলের অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে জানা গেছে, বসিরহাটের তিনটি পৌরসভার ১০ টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। জোরপূর্বক তাদের মনোনয়ন কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে উঠছে অভিযোগ।
রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে জানা গেছে যে, বাদুড়িয়া, বসিরহাট ও টাকি এই তিনটি পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। প্রার্থী না দিতে পারায় শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। যে যে ওয়ার্ড গুলিতে বিজেপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি সেগুলি হল – বসিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড। বাদুড়িয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড, ১২ নম্বর ওয়ার্ড, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। এছাড়াও টাকি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড, ৫ নম্বর ওয়ার্ড, ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বিজেপির প্রার্থীরা। গোটা বিষয়টিকে ঘিরে শাসকদলের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছে রাজ্য বিজেপি।
বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন ঘোষ জানিয়েছেন, “বসিরহাট ও টাকি পৌরসভায় শাসকদল আমাদেরকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। তাই আমরা বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাই করা সত্ত্বেও মনোনয়ন জমা দিতে পারলাম না।”
অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি তাই তারা মনোনয়ন দিতে পারেনি। আমরা কখনো কাউকে ভয় দেখাই না। মনোনয়ন জমা দিতে না পারাটা যেকোন দলের কাছেই দলের কাছেই সাংগঠনিক দুর্বলতা।”