পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- করোনার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা এবার পশ্চিমবঙ্গে। তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানে বহু মানুষ এই মারণরোগে সংক্রমিত হওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গে কিছু মানুষের শরীরে এই ফাঙ্গাসের খোঁজ মিলল। সূত্রের খবর, কলকাতায় মোট ৫ জনের শরীরে এই ফাঙ্গাসের নমুনা পাওয়া গেছে। শহরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে প্রতিটা রাজ্যে সচেতনতা প্রচারের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছ রাজ্য সরকারগুলিকে। সেখানে জানানো হয়েছে, এই ব্যাধিকে এপিডেমিক রোগ হিসেবে ধরতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের তালিকা অবশ্যই কেন্দ্রের কাছে জমা দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম, তাদের মধ্যে এই ব্যাধির সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূলত করোনা সেরে যাওয়ার পর এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষরা। কারণ তখন শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার কম থাকে।
এছাড়াও ডায়াবেটিক রোগী এবং যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। যেসব ব্যক্তির শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ কম এবং যারা স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করেন তাদের শরীরে এই রোগের সংক্রমণ হতে পারে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের লক্ষণ
১) নাক বন্ধ, নাকের ভেতরে এবং উপরের অংশে কালো ছোপ।
২) নাক থেকে চাপা রক্ত বা তরলের মত কাল পুঁজ বেরোনো।
৩) চোখে ধোঁয়াটে দেখা বা চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ খুলতে বা বন্ধ করতে সমস্যা অনুভব করা।
৪) মুখ ফুলে যাওয়া।
৫) মাথা ধরা।
৬) হঠাৎ দাঁতে ব্যথা, দাঁত নড়ে যাওয়া অথবা আলগা হয়ে আসা।
৭) মুখ অসাড় হয়ে যাওয়া এবং চোয়ালে ব্যথা অনুভব করা।
৮) জ্বর অথবা ত্বকের সমস্যা।
৯) বুকে ব্যথা এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় সমস্যা।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমনের এই লক্ষণগুলি চোখে পড়লেই শীঘ্র চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কোনমতেই নিজের ইচ্ছে মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ওষুধ খাওয়া যাবে না। শীঘ্রই ফাঙ্গাস ধরতে এন্ডোসকপি করে নাকের অংশে পরীক্ষা করতে হবে। অক্সিজেন নেওয়ার সময় পরিষ্কার এবং স্টেরিলাইজ করা জল ব্যবহার করা আবশ্যক। একবার নয়, দুই-তিনবার চিকিৎসকের কাছে ভিজিট করা প্রয়োজন।
নিজেকে সুস্থ রাখতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম দরকার। শরীরে তরলের অভাব দূর করতে প্রচুর পরিমান জল এবং ফলের রস পান করতে হবে। শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হবে।