pakistan, murder, পাকিস্তান, খুন
পাকিস্তানে মাথা ও স্তন কেটে নৃশংসভাবে হত্যা সংখ্যালঘু এক মহিলার!

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি পাকিস্তানের সিন্ধপ্রদেশের সিনঝোরো শহরে ঘটে যাওয়া নৃশংস কাণ্ডে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। গত মঙ্গলবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে মাথা ও স্তন কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে সিন্ধপ্রদেশে। এই ঘটনার পর ভারতের দাবি, পাকিস্তানের উচিত তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা। তাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং সুস্থতা নিশ্চিত করা পাক সরকারের দায়িত্ব।

গত মঙ্গলবার ২৭শে ডিসেম্বর সিন্ধপ্রদেশের সিনঝোরো শহরে মাথা ও স্তন কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪০ বছরের দয়া ভীল নামের এক মহিলাকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই মহিলার স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। গত মঙ্গলবারে সেই মহিলার টুকরো টুকরো দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় সেখানকার সরিষার ক্ষেতে।

গত মঙ্গলবার দয়া ভীলের ছেলে সুমার মাকে বাড়ি ফিরে আসতে না দেখে খুঁজতে বেরোয় বাইরে। আর তখনই সরিষার খেতে দেখতে পায় মায়ের টুকরো টুকরো শরীরের অংশ। তবে এই বিষয়ে সুমার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যেভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সেটাই তাদের জন্য সবথেকে বেদনাদায়ক। তার মা সময়মত ফিরে না আসার কারণে সুমাররা তাঁকে খুঁজতে বের হয়েছিল।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর ক্ষেতের পাশে তাঁর বিকৃত দেহ পাওয়া যায়। এমনকি ওই মহিলার মাথা কেটে তার মাথা থেকে চামড়াও ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন পরিচয়হীন ওই অভিযুক্তরা। তবে সেদিন ওই সংখ্যালঘু মহিলার হত্যার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি পিপলস পার্টির সেনেটর কৃষ্ণা কুমারী।

তারপর তিনি হত্যার ব্যাপারে ট্যুইটে লেখেন, ৪০ বছরের বিধবা দয়া ভীলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।তাঁর মাথাটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। বর্বররা মাথা থেকে মাংস খুবলে তুলে নিয়েছিল। সিনঝোরো এবং শাহপুরচাকর থেকে পুলিশের দলও সেখানে পৌঁছেছে।

তবে সিন্ধপ্রদেশের পুলিশ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য একটি আলাদা দল গঠন করবেন বলে জানিয়েছেন।