পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ– প্রতি বারের মতো এবারও ভারতের কাছে মাথা নত করতে হল পাকিস্তানকে। সবসময়ই ভারত পাকিস্তান দন্ধ সারা বিশ্বের কাছে আলোচনার বিষয়। সেক্ষেত্রে ভারত বরাবরই সমস্ত দিক থেকে পাকিস্তানকে পরাজিত করে এসেছে। এবারেও তার ব্যাতিক্রম হল না। ইমরান সরকারকে মোদী সরকারের কাছে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতেই হল।
২০১৯ শে ভারতের জম্মু- কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পাকিস্তান সরকারের রাতের ঘুম উড়ে যায়। আর সেই সময় থেকে নতুন করে ভারতের সাথে শত্রুতায় অবতীর্ণ হয় পাকিস্তান। ভারতের সাথে সমস্ত রকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান সরকার।
এমত অবস্থায় ভারত সরকারও পাকিস্তানকে আর কোনও রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। কিন্তু করোনা আবহে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়। ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে ভারত থেকে যে সব পণ্য পাকিস্তানে রপ্তানি হতো সেই সব পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
পাকিস্তানে রপ্তানিকৃত দ্রব্যের মধ্যে প্রধান ছিল চিনি এবং কার্পাস তুলো। সেক্ষেত্রে এই সব পণ্য অন্যত্র থেকে আমদানি করার কারণে পাকিস্তান সরকার এই দুটি দ্রব্যের ওপর মোটা কর চাপিয়ে দেওয়াতে অসুবিধায় পরে সাধারণ মানুষ। কিন্তু করোনাকালে পাকিস্তানের সাধারন মানুষের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে চরম অশান্তির সৃষ্টি হয়। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই পাকিস্তানের ইমরান সরকার ভারতের মোদী সরকারের কাছে মাথা নত করে।
যেহেতু ভারতের প্রতিবেশী দেশ গুলিতে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছয় মোদী সরকার, সেক্ষেত্রে এখনও অবধি পাকিস্তানে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়নি। কিন্তু পাকিস্তান নিজেদের স্বার্থে ভারতের সাথে সামরিক এবং ব্যাবসায়িক চুক্তি নতুন করে সংশোধন করার চেষ্টা করছে। ফলে ভারত সরকার পাকিস্তানকে ৪ কোটি করোনা ভ্যাকসিন পাঠানোর ব্যাবস্থা করেছে। তবে এক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারকে ভারতকে ভ্যাক্সিনের জন্য টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।