পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ফের ধর্ষণ যোগীর রাজ্যে। আর এই ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত এক পুলিশকর্মী। মাস কয়েক আগে গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় এসেছিলেন এক নাবালিকা। অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশেরই এক পুলিশকর্মীর উপর। আবারো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে এবার ধর্ষণ হলেন এক মহিলা আইনজীবী এবং ধর্ষণ করেছেন এক পুলিশ আধিকারিক। এমনটাই অভিযোগ সামনে এসেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শোরগোল শুরু হয়েছে মিরাটে।
এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে সাব ইন্সপেক্টর অজয় শর্মার বিরুদ্ধে। বর্তমানে অজয় শর্মা গাজিয়াবাদের একটি থানায় কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন, অজয় শর্মার সাথে তার প্রথম পরিচয় হয় মিরাটের আদালতে একটি শুনানির চলাকালীন। অজয় শর্মা যখন মিরাটের কানকারখেরা এলাকার লিসারি গেট থানায় ছিলেন সেই সময় আইনজীবিকে ধর্ষণ করেন এই সাব-ইন্সপেক্টর।
তার অভিযোগ, ঠান্ডা জলের সাথে মাদকদ্রব্য মিশিয়ে তাকে খাইয়ে দেয় ওই পুলিশকর্মী। তারপর পুলিশকর্মী ও তার বন্ধুরা মিলে ওই মহিলা আইনজীবীকে গণধর্ষণ করে। এমনকি ওই পুলিশকর্মী অজয় শর্মা গণধর্ষণের ভিডিও করে রাখেন। এছাড়াও তিনি জানান, পুলিশ আধিকারিক এর ভয়ে তিনি নিজের ঘর ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে গিয়ে থাকেন। বাড়িতে লোকজন দিয়ে হামলা চালিয়ে জোর করে টাকা-পয়সা এবং সোনা-গহনা ছিনিয়ে নিতে আসেন অজয় শর্মা।
পরে এই আইনজীবী অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে জোর করে গর্ভপাত করার হুমকি দেন ওই পুলিশ কর্মী। মহিলাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন তিনি। মহিলা আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে বল্লভপুর থানায় দায়ের করা হয়েছ এফআইআর।
বর্তমানে বল্লভপুর গ্রাম থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক হলেন অবিনাশ সাওয়াল (Avinash sable)। তিনি বলেন, “মহিলা আইনজীবীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” অজয় শর্মার বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন করেছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মী অবিনাশ সাওয়াল এবং তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার আর্জি জানিয়ে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছেন তিনি।