পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ভারত সফরে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। ইতিমধ্যেই তা বাতিল করেছেন তিনি। চলতি মাসের শেষের দিকেই ভারতে আসার কথা ছিল জনসনের। তিন দিনের জন্য তিনি ভারতে আসতে চেয়েছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ভারতের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুরক্ষার পাশাপাশি কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষার বিষয় নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল তার। তবে তার সেই বৈঠক ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ এতটাই বেড়ে চলেছে যে ভারত সফরে আসতে নারাজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এছাড়াও ব্রিটেনের তরফ থেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে ভারতীয়দের জন্য। করোনা সংক্রমনের জেরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কে ব্রিটেনে প্রবেশ করার নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে আগেই।
প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটেনে প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে অন্যান্য দেশ কেউ। এবার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো লাল তালিকায় ভারত কেও নাম তালিকাভুক্ত করল ব্রিটিশ সরকার। অতিমারি করোনার প্রভাব বাড়ার ফলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ব্রিটেনের। করোনা আবহের মধ্য দিয়ে আপাতত কোন ভারতবাসী ব্রিটেনে পা রাখতে পারবেন না। এর আগে গত ৯’ই এপ্রিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, কেনিয়া, ফিলিপিনস দেশগুলি কেউ লাল তালিকাভুক্ত করেছে ব্রিটিশ সরকার।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ শে এপ্রিল থেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি কার্যকর হবে। আগামী ২৪ শে এপ্রিলের পর থেকে কোন ভারতবাসী ব্রিটেনে পা রাখতে পারবেন না।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ভারতে বসবাসকারী ব্রিটেন বা আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের জন্য প্রবেশে কোন নিষেধাজ্ঞা জারি নেই। তারা করোনা আবহের মধ্য দিয়েও দেশে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু কোন ভারতীয় নাগরিক করোনা আবহের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারবেন না।’
এছাড়াও তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘যদি নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন কোন ভারতীয় ব্রিটেনে আসেন তাহলে তার কোভিড টেস্ট করিয়ে দশ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে। দেশে প্রবেশ করার পর দ্বিতীয় ও অষ্টম দিনে কোভিড টেস্ট করাতে হবে। এমনকি নিজের খরচেই কোনও কোয়ারেন্টাইন হোটেলের সেল্ফ আইসোলেশন এ থাকতে হবে।’