corona virus, corona vaccine, 200 hundred crore covid vaccine
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় হানায় গোটা দেশজুড়ে চলছে মৃত্যু মিছিল। প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ লাখ এর কাছাকাছি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। তারই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে টিকাকরণ। কিন্তু সেই কোভিড ভ্যাকসিনেরও আকাল দেখা দিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রথম ডোজ দেওয়ার পর কোভিড ভ্যাকসিনের সংকট দেখা ভাক্সিনের আকালে শুরু করতে পারেনি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ । করোনা ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত চাহিদার ফলে গোটা দেশজুড়ে করোনা টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ভারতে দুটি কোম্পানি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করে। যার মধ্যে একটি সেরাম ইনস্টিটিউট-এর ‘কোভিশিল্ড’ ও অপরটি ভারত বায়োটেক-এর ‘কো-ভ্যাকসিন।’

এই দুটি কোম্পানি মিলে যে পরিমাণ কোভিড ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত উৎপাদন করতে পেরেছে। তাতে মাত্র দেশের তিন শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছে সরকার। কিন্তু দেশের সমস্ত মানুষকে টিকাকরণের উদ্দেশ্যে কোটি কোটি কোভিড ভ্যাকসিন-এর প্রয়োজন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পারবে ওই দুটি সংস্থা। যা দেশের জনগণের জন্য যথেষ্ট।

আরও পড়ুনঃ ভ্যাক্সিন নিলে কি পরতে হবে মাস্ক? বিশেষ তথ্য দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট

গত ১ লা মে রাশিয়ান ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ -এর দেড় লক্ষ ডোজ ভারতে এসে পৌঁছেছিল। জরুরী ভিত্তিতে ডিসিজিআই সেই ডোজ গুলি দেশে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। কেন্দ্র সরকার জানিয়েছেন যে আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ান ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ ভারতে উপলব্ধ হয়ে যাবে।

corona virus, corona vaccine, 200 hundred crore covid vaccine
চিত্র- সংগৃহীত

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে গতকাল নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান ডঃ ভিকে পল জানিয়েছেন, “আগামী ৫ মাসের মধ্যে ভারতের হাতে এসে যাবে ২১৬ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ। তখন দেশের সমস্ত মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন। এই ২১৬ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে ৭৫ কোটি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ও ৫৫ কোটি কো-ভ্যাকসিন ডোজ পাওয়া যাবে।”

আরও পড়ুনঃ কোভিড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ কোথায় পাবেন ? তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য সরকার

এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, “বাকি ৮৬ কোটি ভ্যাকসিন বিদেশ থেকে আনা হবে। ইতিমধ্যেই  হু এবং এফডিএ যে সমস্ত ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে সেগুলি আমদানি করা হবে। এখন অনেক রাজ্যে তৃতীয় পর্যায়ের অর্থাৎ ১৮ বছর ঊর্ধ্বের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আগামী আগস্ট মাস থেকে ভ্যাকসিন ডোজ জোগাড় হয়ে গেলে আর কোন সমস্যা থাকবে না।”