gujrat election. gujrat, caa, amit shah, bjp, বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বেই দেওয়া হবে ভারতীয় নাগরিকত্ব
"বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বেই দেওয়া হবে ভারতীয় নাগরিকত্ব", জানালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক | চিত্র - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ চলতি বছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে মোদী রাজ্যে। তবে এবার গুজরাট দখল করতে চেয়ে একাধিক রাজনৈতিক দল গুজরাটে উপস্থিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। এছাড়া দিল্লি ও পাঞ্জাব দখলের পর এবার গুজরাট দখলের আশায় গুজরাটে উপস্থিত হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভোটের দিনক্ষণ এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত না হলেও, রাজনৈতিক প্রচার এবং জনসভা চলছে জোরকদমে।

গত ২৭ বছর ধরে গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সরকার। নিজেদের গড়ে কোনদিনই কাউকে পা রাখতে দিতে চাইবে না বিজেপি, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু বিরোধী দলগুলি কোমর বেঁধে নেমেছেন গুজরাট দখলের আশায়। তবে হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই পদ্ম শিবিরও। বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে একাধিক শিল্প কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যে সকল মানুষ গুজরাটে এসে উপস্থিত হয়েছেন তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে কোন কোন জাতির মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন সেটিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। জানানো হয়েছে যে হিন্দু,বৌদ্ধ,শিখ,জৈন,পারসি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এসে গুজরাটের একাধিক জেলায় বসবাস করেছেন সংখ্যালঘু শরণার্থীরা। ১৯৫৫ অনুযায়ী এই সকল মানুষদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে সকল ব্যক্তিরা গুজরাটের বিভিন্ন জেলায় জীবন-যাপন করছেন তারা এই ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের অধীনে আসতে পারবেন। ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন পেতে অনলাইনে জমা দিতে হবে আবেদনপত্র। এই আবেদন পত্র গুলী খতিয়ে দেখবে জেলাশাসক, তারপরই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র।

বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে রাজনৈতিক কোনো কৌশল লুকিয়ে আছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অনেকেই দাবি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটব্যাংকে সাড়া ফেলতে চায় গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার নিয়ম নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “গুজরাটে সেতু ভেঙে পড়েছে। বিজেপির চূড়ান্ত অপদার্থতা সামনে চলে এসেছে। সেগুলি থেকে নজর ঘোরাতে এই ধরনের পদক্ষেপ। গুজরাটের সেতুর ঘটনা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এই ধরনের পদক্ষেপের কথা হাওয়ায় ভাসানো হচ্ছে।”