পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- আফগানিস্তানে তালিবান শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত কিছুটা চিন্তিত। কারণ ওই দেশে রয়েছে একাধিক পাক-জঙ্গী সংগঠন। পরবর্তীকালে এদের পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে ভারতবর্ষকে এখন থেকেই খানিকটা সজাগ থাকতে হচ্ছে।
আফগানিস্তানের বর্তমান চিত্র সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত। কাজেই ভারতে এর প্রভাব কতটা পড়বে সে নিয়ে সমস্ত ধোঁয়াশা কাটানোর জন্য ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল এবং তালিবান কার্যালয়ের প্রধান শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাইয়ের সাথে বৈঠকে বসেন। গত মঙ্গলবার মার্কিন-বাহিনী আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ার ঘন্টাখানেক পর এই বৈঠকটি শুরু হয়।
সেই বৈঠকে তালিবান রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান জানান, আফগানিস্তানে কোনরকম ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করা হবে না। আফগানিস্থানে আটকে থাকা কিছু সংখ্যক ভারতবাসীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ভারত। তবুও এখনো বহু ভারতবাসী সেখানে রয়েছেন। কাজেই তাদের যাতে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায়, সে ব্যাপারেও এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
এ বিষয়ে ভারত বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, ‘এটি শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক স্তরের বৈঠক ছিল। আগামী দিনে ভারতের সুরক্ষা বহাল রাখতে এ ধরনের বৈঠক দেশের তরফ থেকে চালিয়ে যেতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কি হবে সেই সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য ভারতের হাতে আসেনি।’
বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দর থেকে ন্যাটো বাহিনী বিদায় নিয়েছে। কাজেই সেখানে এখন রয়েছে তালিবানরা। বিমানবন্দর এখন পুরোটাই অচল অবস্থায় রয়েছে। কাজেই এখনই বাকি ভারতবাসীদের আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এই বার্তা আফগানিস্থানে আটকে থাকা ভারতবাসীদের চিন্তা বাড়িয়েছে। ভারতে তাদের পরিবার-পরিজনরাও স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না।
তবে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানে তালিবান-সরকার গঠন হতে চলেছে। কাবুল বিমানবন্দর স্বাভাবিক হলেই ভারত আফগানিস্তানে আটকে থাকা বাকি ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে জানান ভারত বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।