
পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতা ও কর্মী সমর্থকরা দলে দলে বিজেপিতে এসে নাম লিখিয়েছিলেন। তারা অনেকেই জানিয়েছিলেন যে, তারা তৃণমূল থেকে সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। তবে নির্বাচন শেষে দেখা যায় গোটা রাজ্য জুড়ে ঘাসফুলকেই মানুষ বেছে নিয়েছে।
এরপরই বহু পুরনো তৃণমূল কর্মী সমর্থক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা ও নেত্রীরা ফের তৃণমূলে ফিরতে চান। বিজেপিতে থাকতে নানা রকম অসুবিধা খুঁজে বার করছেন তারা। সেইরকমই নতুন করে ফের বেসুরো গাইছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো হচ্ছে খুব শীঘ্রই তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। কাজেই তিনি আজ সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন, দলের কোনো কাজেই আর থাকবেন না কৃষ্ণ কল্যাণী। আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
সেখানে তিনি বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। এর পাশাপাশি নাম না করে সংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকেও আক্রমণ করেন তিনি । এদিন তিনি বলেন, “এখানকার সাংসদ কখন আসেন, কখন যান আমরা কিছুই জানি না। এলাকার মানুষ প্রয়োজনে তাঁর দেখা পান না।” এ বিষয়ে রাজ্যের নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন বলে দাবি কৃষ্ণ বাবুর। তবে তার কোন সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি বলেই দাবি তার। তাই আজ রবিবার থেকে দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমার অন্তরাত্মা বলেছে যে সাংবাদিক বৈঠক করে সব জানানো প্রয়োজন, তাই বলছি। যেখানে বিধায়কের সম্মান নেই, সেখান থেকে সরে যাওয়াই ভাল। বাসুদেববাবু বলেছিলেন, বাঁশি ওঁর হাতে। উনি বাঁশি বাজিয়ে সংগঠন চাঙা করবেন, আমি বিধায়ক হিসেবে দলের কাজ করব।”
দলীর সমস্ত কর্মসূচি থেকে পা সরানোর পাশাপাশি, তিনি যে তৃণমূলের পা রাখতে চলেছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, শুধু সময়ের অপেক্ষা ! সঠিক সময়ে তৃণমূলে যোগদান করবেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
কৃষ্ণ কল্যাণী এর আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার। তিনি এদিন বলেন, “আদর্শগতভাবে দল করছি। দলের কোনও বিষয়ে মতবিরোধ হলে তা সরাসরি বলাই ভাল। তা না করে সাংবাদিক বৈঠক করা হলে দলেরই ক্ষতি।” এর পাশাপাশি সংসদ দেবশ্রী চৌধুরী জানিয়েছেনে, তার আন্ডারে বিরল এলাকা রয়েছে। যার কারণেই শুধুমাত্র রায়গঞ্জে থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয়।