mamata banerjee, narendra modi, corona virus corona, corona vaccine
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের সংখ্যা নিম্নগামী যাত্রা কমতে শুরু করেছে। দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা ১ লক্ষের  আশেপাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকি নিম্নগামী মৃত্যুর হারও।

তবে এই মহামারী করোনা ভাইরাস কে ঘিরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের একটা সংঘাত চলে আসছে শুরু থেকেই। মহামারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ভ্যাক্সিনেশনই একমাত্র পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকাকরণের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আবেদন করে বলা হয়েছিল যে দেশের সমস্ত মানুষকে ফ্রী ভ্যাক্সিনেশন করা হোক কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে।

এবার সেই ফ্রী ভ্যাকসিনেশনের পথেই হাঁটল কেন্দ্র সরকার। গতকাল অর্থাৎ সোমবার ভ্যাকসিনেশনের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “২১ শে জুন সোমবার থেকে দেশের প্রতিটি রাজ্যের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিকের জন্য, ভারত সরকার রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, “ভারত সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ নিজে কিনে রাজ্যগুলিতে বন্টন করবে।”

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর এমন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। কেন্দ্র সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে নেটিজেনরা। তবে তার মধ্য দিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষনাকে কেন্দ্র করে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার জবাবে জানিয়েছেন, “মহামারী করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতের জনগণের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে, প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তটা নিতে অনেক দেরি করে ফেলেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবার থেকে সঠিক পদ্ধতিতে ভ্যাক্সিনেশন করার কর্মসূচি চালু হবে বলে আশা করব।”

এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, “২১ শে ফেব্রুয়ারির পর থেকে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে পাঠিয়েছি ফ্রী ভ্যাক্সিনেশন করার আবেদন জানিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চার মাস পর চাপের মধ্যে পরে ফ্রি ভ্যাক্সিনেশন স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।”