পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সুকেশ, জ্যাকলিন ও নোরা এই ত্রিকোণমিতির জটিল কেচ্ছা বহুদিন ধরেই চলছে। সুকেশ চন্দ্রশেখর প্রায় ২০০ কোটি টাকা তছরুপ কাণ্ডে ধরা পড়েন। আর সেই তছরূপ কাণ্ডেই নাম উঠে আসে বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। যদিও সুকেশ চন্দ্রশেখর দাবী করেন যে, তিনি জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের কোনরূপ ক্ষতি হতে দেবেন না। তার সবটুকু দিয়ে তিনি রক্ষা করবেন জ্যাকলিনকে।
জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের যে প্রেম গঠিত সম্পর্ক ছিল তা আঁচ করা হয়েছিল অনেক দিন আগে। তবে জ্যাকলিন এই সম্পর্ককে মিথ্যে বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন যে, সুকেশ তার ক্যারিয়ার এবং খ্যাতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জ্যাকলিন কখনোই সুকেশের জালে ধরা দিতে চাননি।
অপরদিকে নোরার নামও যখন এই তছরূপ কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, তখন নোরা বলে ওঠেন যে, সুকেশ তাকেও দামি উপহার, দামি গাড়ি এবং বিলাসবহুল জীবনযাত্রার লোভ দেখিয়ে তাকে প্রেমের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নোরা কখনোই তার প্রেম প্রস্তাব মেনে নেননি। যদিও সুকেশ কিন্তু ঠিক তার উল্টোটি বলেন সংবাদমাধ্যমে। সুকেশ নোরার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন যে, নোরা সবসময় সুকেশকে ব্যবহার করার চেষ্টা করতেন।
সুকেশকে সবসময় বিভিন্ন দামি দামি উপহারের ছবি পাঠিয়ে সেগুলো হাতানোর চেষ্টা করতেন। যদিও সুকেশ নোরাকে একটুও পাত্তা দিতেন না। সুকেশের প্রথম এবং শেষ ধ্যানজ্ঞান শুধুমাত্র জ্যাকলিন। এমনকি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সুকেশ জ্যাকলিনকে প্রেমের বার্তা পাঠান। তবে জ্যাকলিন পুরোটাই অস্বীকার করেন।
জ্যাকলিন বলেন যে, তিনি সুকেশের কোন ইঙ্গিতে কোন দিনই সাড়া দেননি। যদিও সুকেশ তাকে যথেষ্ট বিরক্ত করার চেষ্টা করেন এবং সুকেশ এর জন্যই তার আজকে এরকম পরিণতি। এমনকি সুকেশ কোন জেলে আছেন সেটিও তিনি জানেন না। তবে সুকেশ তার ভালোবাসার জন্য লড়তে রাজি।