পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ তিন বছর ধরে সম্পর্কে থাকার পর প্রেমিকের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হচ্ছে। এমন ঘটনা জানতে পেরে সামলে থাকতে পারলেন না প্রেমিকা। সোজা প্রেমিকের বাড়ির সামনে গিয়ে ধর্নায় বসলেন কলেজ ছাত্রী।
এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায়। জানা গিয়েছে, মেয়েটির নাম জুলেখা খাতুন এবং ছেলেটির নাম আব্বাস উদ্দিন। তারা প্রায় তিন বছর ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। তবে প্রথম থেকেই আব্বাসের পরিবার এই প্রেমের সম্পর্ক মানতে নারাজ। কোন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না কলেজছাত্রী জুলেখাকে।
তাই অন্যত্র বিয়ে ঠিক করছে আব্বাস উদ্দিনের পরিবার। এমন ঘটনা শোনা মাত্রই প্রিয়তমা প্রেমিকের বাড়ির সামনে এসে হাজির হয়। এমন কি প্রেমিক আব্বাস উদ্দিনের বাড়িতেও ঢুকে পড়ে। এমন দৃশ্য দেখে চড়াও হয়ে পড়ে আব্বাসের পরিবার। এমনকি আব্বাসের ভাইবোনেরা আব্বাসকে ধরে মারধরও করে। তবুও আব্বাস উদ্দিনের পরিবার পুত্রবধূ হিসেবে কলেজছাত্রী জুলেখাকে মেনে নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এরপর জুলেখা প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে এবং তার হাতে একটি বড় পোস্টারে লেখা রয়েছে, “বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, তিন বছর ধরে সব সম্পর্ক করে এখন অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে। আমাকে বিয়ে করুক, না হয় মেরে ফেলুক। না হলে আমি আত্মহত্যা করব।” এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রেমিক আব্বাস উদ্দিনের বাড়ির সামনে ভিড় জমতে শুরু হয়েছে স্থানীয় লোকেরা।
এই ঘটনায় জুলেখা জানিয়েছেন, প্রায় তিন বছর ধরে আব্বাস উদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় তার। প্রথমে বন্ধু হিসেবেই পরিচয় হয় তাদের। এরপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব থেকে শুরু হয় প্রেমালাপ। তবে সম্পর্কের শুরু থেকেই আব্বাস উদ্দিনের পরিবার তাকে মানতে নারাজ। জুলেখা জানিয়েছেন, তার ধারণা ছিল হয়তো সময়ের সাথে সাথে সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যেতে পারে। তবে তার পরিবারের থেকে অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক করবে সেটা তার ধারণা ছিল না।
জানিয়ে রাখি, প্রায় দুই বছর আগে প্রেমিকের জন্য ধরনায় বসেছিলেন অনন্ত বর্মন নামের এক যুবক। ঘটনাটি ছিল ধুপগুড়ি এলাকার। প্রথম ধর্না দিয়ে তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন, নিজের ভালোবাসাকে ফিরিয়ে আনতে। এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে উঠে আসছে ধর্নার ঘটনা। তবে কলেজ ছাত্রী জুলেখা এই ধর্নায় বসে সাফল্য পাবে কিনা সেটাই দেখার।