পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গে একমাসব্যাপী ভোট উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এবার বাংলা কার দখলে সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বঙ্গবাসী। আগামীকাল ২’রা মে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবে।
নির্বাচন ভোট পর্বের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক হিংসা চরম পর্যায়ে উঠেছিল। ভোট গণনার দিন যেন শান্তি বজায় থাকে এবং পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার ছায়া যেন রাজ্যে আর না পড়ে সেদিকে নজর দিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র।
ভোট গণনার দিন শান্তি বজায় রাখতে ২৩ কোম্পানির কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটগণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবে। এছাড়াও ৯ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গণনা হোক সে দিকেই নজর কলকাতা পুলিশের।
জানা গিয়েছে, গতকাল শুক্রবার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র থানার অধিকারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। তিনি অফিসারদের জানিয়েছেন, ভোটের আগে যেভাবে নিজ নিজ এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে তৎপর হয়েছিলেন। ঠিক সেইভাবেই তাদের ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে বলেছেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।
ভোট গণনার দিন যাতে রাজনৈতিক হিংসা চরম পর্যায়ে না পৌঁছায় সেই কারণেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথোপকথন করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার এবং অন্যদিকে গোটা দেশজুড়ে করোনার প্রভাব বাড়ায়, ভোট আবহের মধ্য দিয়ে রাজ্যেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কোভিড প্রটোকল মেনে ভোট গণনার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কোন রাজনৈতিক দল কোনরকম বিজয় মিছিল করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। পুলিশ অধিকারীদের কেউ সেদিকে নজর রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।
ভোট আবহের মধ্য দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক রাজনৈতিক হিংসার খবর উঠে এসেছে। এবার প্রশাসনের দাবি, ভোট ফলাফল ঘোষণার পরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক হিংসা আরও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। যে সমস্ত এলাকাতে গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেইসব এলাকা গুলি কে বেছে নিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করতে থানার ওসিদের কে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার পুলিশ।
লালবাজার পুলিশ সূত্রে খবর, কোন প্রকার ছোট ঘটনা যেন কোন রকমেই বড় আকার ধারণ না করে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন ডিভিশনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানা গিয়েছে।