পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর জারি হয়েছে কড়া নজরদারি। নতুন আইন জারি করল কলকাতা পুলিশ। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর কোন প্রকার সেলফি বা ফটো তুললে ঘাড় ধরে নিয়ে যাওয়া হবে সোজা গারদে।
গত রবিবার পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় দুই যুবক তস্তগীর আলম ও মহম্মদ জাকির সরদার। তারা একটি ভিডিও করার উদ্দেশ্যে ঝাঁপ দেয় গঙ্গায়। একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অপরজনের হদিস পাওয়া যায়নি গঙ্গায়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে কয়েকজন বন্ধু উৎসাহ দিচ্ছে তাদের দুজনকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল।
সেতুর উপর সব সময় চলে পুলিশের নজরদারি। সেতুর উপর গাড়ি দাঁড় করানোর নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তারপরও পুলিশের নজর এড়িয়ে তারা কিভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে এই কান্ড ঘটালো? প্রশ্ন থেকেই যায়। সূত্রের খবর, ওই যুবকেরা একটি মেটাডোর গাড়ি নিয়ে এসেছিল। সেতুর উপর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে এমন ভয়ংকর কান্ড ঘটালো। পুলিশের নজরদারি কোথায়? এখন তা নিয়েই বাংলা উত্তপ্ত।
এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটার পর দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর জাল দিয়ে ঢাকার চিন্তাভাবনা করছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এবার সেতুর উপর গাড়ি থামিয়ে সেলফি বা কোনরকম ফটোসুট করার সিদ্ধান্ত নিলেই একদম ঘাড় ধরে গারদে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রতিদিনই হুগলি সেতুর উপর দিয়ে প্রায় দশ লক্ষেরও অধিক যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিনই সমস্ত গাড়ি গুলি চেক করলে জমায়েত সৃষ্টি হবে। তার জন্য মাঝেমধ্যে পুলিশ পেট্রোলিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মোটরসাইকেল পেট্রোলিং এর ব্যবস্থাও থাকছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর এবার কড়া নজরদারি।
কলকাতা পুলিশ এবার গর্জে উঠেছে। ট্রাফিক পুলিশের তরফেও চালানো হবে নজরদারি। এছাড়াও নজরদারি করা হবে সিসিটিভি মনিটরিং এর মাধ্যমে। কোনও গাড়ি বা কোনও ব্যক্তি দ্বিতীয হুগলি সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ফটোশুট বা স্ট্যান্ড যাতে না করতে পারে। তার উপর বিশেষ নজর রাখছে কলকাতা পুলিশ। গত রবিবারের ঘটনার পর থেকেই কড়া নজরদারি কলকাতা পুলিশের।