পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ব্যাপক প্রভাব পড়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে। গত এক মাসের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে তাদের নথিপত্র জমা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতোই রাজ্যের মা-বোনেদের আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করতে চালু করা হয়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। তবে কবে থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা মিলবে ?
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্গা পুজার আগেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা রাজ্যের মা-বোনেদের ব্যাংক একাউন্টে জমা করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৬ ই আগস্ট থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জেলায়। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৬ ই সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে গিয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প।
এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প এর মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষ ১৮ টি প্রকল্পের সাহায্য পেয়েছেন। সেই সকল প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। গতবছর রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর আওতায় আনা হয় রাজ্যবাসীকে। তবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৬৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৫১ টি। চলতি বছরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের মা-বোন দের উদ্দেশ্যে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। আর এই প্রকল্পে এক মাসের মধ্যে ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৮ টি আবেদনপত্র জমা পরেছে।
রাজ্য সরকারের দ্বারা পরিচালিত এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে রাজ্যের মা-বোনেরা প্রতিমাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যারা এসটি/এসসি/ওবিসি এর মধ্যে পড়েন, সেই সকল মহিলাদেরকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে এবং অন্য মহিলাদেরকে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। তবে ইতিমধ্যে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে জমা দেওয়া তথ্যগুলো খতিয়ে দেখছেন সরকারি আধিকারিকরা। পূজার আগেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা রাজ্যের মা বোনেদের ব্যাংকের একাউন্টে জমা করা হবে বলেই কাজে গতি আনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। পুজোর মরসুমে ইতিমধ্যেই কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে দিয়ে মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা।